আগস্ট ২৮, ২০২১, ০৯:৪৪ এএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি বালুবোঝাই ট্রলারের সঙ্গে সংঘর্ষে যাত্রীবাহী একটি ট্রলারডুবির ঘটনায় আরও ১ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।এনিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ২২ জনে। এ ঘটনায় শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে সেলিম মিয়া নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে ৭ জনের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)মির্জা মোহাম্মদ হাছান দ্য রিপোর্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিজয়নগর থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার (২৮ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে ওই লাশটি উদ্ধার করা হয়।মৃত শিশুটির নাম নাশরা বলে জানা গেছে। সে জেলা শহরের পৈরতলা এলাকার বাসিন্দা হারিজ মিয়ার মেয়ে বলে স্থানীয় ও থানাসূত্র নিশ্চিত করেছে।
ট্রলারডুবির ঘটনায় এ পর্যন্ত নিহত ২২ জনের মধ্যে ১৮ জনকে শুক্রবার (২৭ আগস্ট) রাতেই তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান মরদেহগুলো স্বজনদের বুঝিয়ে দেন। এসময় তিনি গণমাধ্যমে বলেন, পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় রাতেই ১৮ জনের মরদেহ স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এসময় মরদেহ পরিবহনের জন্যে স্বজনদের কাছে ২০ হাজার করে টাকা দেয়া হয়।
৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা, আটক ৫
ট্রলারডুবির ঘটনায় শনিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে ৭ জনের বিরুদ্ধে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মির্জা মোহাম্মদ হাছান দ্য রিপোর্টকে বলেন,‘ শনিবার দুপুরের দিকে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের গেড়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মো. সেলিম মিয়া থানায় মামলাটি করেন। ট্রলাডুবিতে তার পরিবারের ৪ সদস্য মারা গেছেন বলে সে জানিয়েছে।এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে আরও এক শিশুর লাশ উদ্ধার। ছবি: সংগৃহীত
গতকাল শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার লইছকা বিলে আনন্দবাজার ঘাটগামী যাত্রীবাহী একটি ট্রলারের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা বালুবোঝাই ট্রলারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে যাত্রীবাহী ট্রলারটি উল্টে যায়। এতে ট্রলারটিতে থাকা প্রায় ৭০ জনের মতো যাত্রীর সবাই নদীতে পড়ে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।