আসছে ঈদুল আজহায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট পাওয়ার জন্য রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে জনগণের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। শনিবার সকালে কমলাপুরে এমন চিত্র দেখা যায়।
শনিবার সকাল ৮টা থেকেই ঈদযাত্রার দ্বিতীয় দিনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়। টিকিট পেতে অনেক টিকিটপ্রত্যাশী বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই স্টেশনে অবস্থান নিয়েছেন।
ট্রেনের টিকিট নিয়ে জনগণের ভোগান্তির বিষয়ে রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম বলেছেন, “চাহিদার তুলনায় রেলওয়ের যে সক্ষমতা এবং এটার যে ফারাক; সেটা যতক্ষণ পর্যন্ত কমাতে না পারব ততদিন পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থেকে আমাদের যাত্রীরা নিস্তার পাবেন না।”
শনিবার কমলাপুর কমলাপুর রেলস্টেশনে ইসলামী ব্যাংকের দেওয়া ৫০টি ট্রলিগ্রহণ অনুষ্ঠানে রেলমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ঈদের সময় রেল টিকিটের অব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে নূরুল ইসলাম বলেন, “উন্নত দেশে এখন আর কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটার সিস্টেম নেই। এখন সবকিছু হচ্ছে অনলাইনে। আমরাও সেদিকে এগিয়ে যাচ্ছি। চেষ্টা করছি, যাতে মানুষ বাসায় বসে তার টিকিট পেতে পারেন।”
রোজার ঈদের আগে ‘সহজ’ অনলাইনের টিকিট বিক্রির দায়িত্ব নিয়েছে উল্লেখ করে রেলমন্ত্রী আরও বলেন, “ তারা এ ব্যাপারে দিন-রাত কাজ করছে। তারপরও টিকিটের কিছু অব্যবস্থাপনা যে হচ্ছে না, তা নয়। কীভাবে সেসব অব্যবস্থাপনা হচ্ছে এবং তার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়- সেসব নিয়েও আমরা কাজ করছি। এগুলো তো অভিজ্ঞতা ছাড়া সম্ভব না। আমরাও ক্রমে সেই অভিজ্ঞতা অর্জন করার চেষ্টা করছি।”
ডিজিটাল ব্যবস্থায় ডিজিটাল প্রতারণার অভিযোগ স্বীকার করে নূরুল ইসলাম বলেন, “ডিজিটালি যারা প্রতারণা করে তারা অনেক বেশি অভিজ্ঞ। তারা যাতে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে টিকিট জালিয়াতি না করতে পারে, তার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের অনলাইনে টিকিট বিক্রিতে যদি কোনরূপ ত্রুটি বিচ্যুতি হয়- সেটা যেন আমরা সংশোধন করতে পারি। সেজন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। গত ঈদের মতো এবারও যে ত্রুটিগুলো ধরা পড়বে, সেগুলো যেন আগামী বছর না হয় সেই ব্যবস্থা করব।”
ইসলামী ব্যাংক কর্তৃক রেলওয়েকে দেওয়া ৫০টি মালামাল টানার অত্যাধুনিক ট্রলিগ্রহণ করে মন্ত্রী বলেন, যাত্রীদের সুবিধার্থে ইসলামী ব্যাংকের এই উপহার দেওয়ার জন্য তাদের ধন্যবাদ জানাই। আশা করছি, যাত্রীরা এতে নির্বিঘ্নে মালামাল বহন করতে পারবেন।”