বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করায় সংবাদ সম্মেলন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেসময় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ যখন গড়ে তুলেছি, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়াও আমাদের দায়িত্ব। এই দায়িত্বটাও আমাদের পালন করতে হবে।’
কারও মৃত্যুকে ঘিরে সরকারবিরোধী অসন্তোষ তৈরির চেষ্টা কাম্য হতে পারে না বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে ওই সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। উপস্তিত সাংবাদিকতরাও সমসাময়িক বিষয়ে বিভিন্ন প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব এ কারণেই পালন করতে হবে যেন, ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে যুবক থেকে শুরু করে কেউ যেন বিপথে যেতে না পারে। তারা যেন অসামাজিক কার্যকলাপ, জঙিাগবাদ বা অন্য কোন অপরাধে জড়াতে না পারে। আমাদের দেখতে হবে, কেউ যেন এমন কোনো কাজ করতে না পারে যা দেশের ক্ষতি করে, দেশের মানুষের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সে কারণেই ডিজিটাল বাংলাদেশের সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনও প্রয়োজন।
সমালোচকদের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমালোচনা যারা করছেন, তারা করবেনই। সবচেয়ে বেশি সমালোচনা কারা করছে? তারা কি বাস্তব কথা একবারও উপলব্ধি করতে পারে? আজ শুভ দিন। আজ অন্য কোনো কথা বলতে চাই না। আমার বয়স ৭৫ বছর। মানুষের অধিকার আদায় করতে স্কুলে থাকতেই রাস্তায় নামতে শুরু করেছি। সেই বাষট্টি সাল থেকে পথে পথে আছি মানুষের জন্য। কাজেই দেশের সবাইকে চেনা আছে। কে কোথায় কী করছে, সেটা আমাদের জানা আছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কারাগারে বন্দি অবস্থায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। তেমন কিছু তো ঘটেনি! কেউ অসুস্থ হয়ে মারা গেলে কী করার আছে? তবে কারও মৃত্যুই কাম্য নয়। আবার কারও মৃত্যুকে কেন্দ্র করে অসন্তোষ তৈরি করাও কাম্য নয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০৭ সালে ছোট জেলে বন্দি ছিলাম, এখন বড় জেলে। আমার তো বন্দি জীবন। কোথাও যেতে পারছি না। তবে এই ডিজিটাল হওয়ায় আজ বাংলাদেশ একটা ধাপে উঠে আসতে পেরেছে। সবাই অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে আজ আমাদের এ অর্জন।’
সেসময় গণভবন থেকে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ওই সংবাদ সম্মেলনে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।