ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করুন : জাফরুল্লাহ চৌধুরী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১, ০৪:১৬ পিএম

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করুন : জাফরুল্লাহ চৌধুরী

পৃথিবীর সব জায়গায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো আদিম যুগের ফগিং মেশিন নিয়ে এডিস মশা নিধনের চেষ্টা করছে। তাই আমাদের এখনি আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত। শনিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ডেঙ্গুর ভয়াবহতা নিয়ে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ এর আয়োজিত নগরীর মশা নিবারণে সমস্যা টেকশই সমাধানের রূপরেখা সেমিনারে এ অনুরোধ করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

সে সময় তিনি বলেন, ডেঙ্গু ২৪২ বছরের পুরনো রোগ। আজও আমরা সেটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি নাই। আজকে আমাদের শরীরে ডেঙ্গু ভাইরাস প্রবেশের পর সাতদিনের মতো সময় লাগে আক্রান্ত করতে। তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে ভুলেও অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া যাবে না।

তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গুতে আক্রান্তদের জন্য একটা সমস্যা হলো তাদেরকে কখনো কখনো রক্ত দিতে হয়।ফলে আপনাদের প্রত্যকের রক্ত দান করা উচিত, অন্তত বছরে দুই বার। কারণ তিন চার মাস পরে শরীরের রক্ত জল হয়ে যায়।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কীটতত্ত্ববিদ তৌহিদ উদ্দিন আহমেদ। জরিমানার আইন জনগণের জন্য ভীতির কারণ হচ্ছে বলে জানান তিনি। সে সময় তিনি বলেন, সিটি কর্পোরেশন শুধু জরিমানায় সীমাবদ্ধ থাকছে। বরং জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বর্ষা কমে গেলে নিজে থেকেই মশা কমে যাবে। তখন যদি সিটি কর্পোরেশন ক্রেডিট নেয় যে তাদের প্রচেষ্টায় মশা কমেছে তাহলেতো হলো না।

সেমিনারে অন্যান্য বক্তারা বলেন, একজনের বিপরীতে ২০ জন ডেঙ্গু রোগী আছে। মানে একজন রোগী চিহ্নিত হলে ধরে নিতে হবে আরো ২০ জন রোগী আছে।  বাংলাদেশে তিন লাখ রোগী ধরা যেতে পারে। মশা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি নিতে হবে। রাজনৈতিক অঙ্গীকার থাকতে হবে। একদিকে, মশা নিধন করতে হবে অন্যদিকে মশার কামড়ে সৃষ্ট রোগও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এই কাজ দুটো করতে হয় দুটো আলাদা আলাদা মন্ত্রণালয়ের। নগরের মশা নিয়ন্ত্রণে কার্যক্রম নিতে হবে সিটি কর্পোরেশনকে। এটা করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে। 

দেশে ম্যালেরিয়া নির্মূলে অঙ্গীকার এবং গাইডলাইন থাকলেও ডেঙ্গুর জন্য কোন কিছু নেই বলে দাবী করেন কীটতত্ত্ববিদ ড. মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ডেঙ্গুর গাইডলাইন দেখার দায়িত্ব স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকলে এটা হয়তো হতো। এলজিইডির মশক নিয়ন্ত্রণ দপ্তর নিস্ক্রিয়।

সেমিনারে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ এর পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় মতামত রাখেন, সেন্টার ফর গভর্নেন্স এর চেয়ারম্যান মঞ্জুর চৌধুরী, ড. সাইফুর রহমান, ডা. সরদার নাঈম, ডা. মালিহা মান্না, ডা. আসমা খান।

Link copied!