ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা ছাড়ছে মানুষজন। মহাসড়কে বেড়েছে যানবাহনের চাপ। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপারেও। ওপার থেকে ঢাকাগামী যানবাহনগুলোও সেতুর টোলপ্লাজার সামনে ঘন্টার পর ঘন্টা ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিল গোটা বিকেল বেলা।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ দেখা যায়।
এ ছাড়াও জয়দেবপুর থেকে টাঙ্গাইল মহাসড়কের সখীপুর থেকে কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত যানজট রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে সড়কে চাপ অনেকটা কম থাকলেও দুপুরের পর থেকে ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-টাঙ্গাইল সড়কে যাত্রীচাপ বাড়তে থাকে।
মঙ্গলবার ঈদের শেষ কর্মদিবসের পর ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হওয়ায় মহাসড়কে গাড়ির চাপ বাড়তে শুরু করে।
এ ছাড়া বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটারের বেশি সড়কে চলছে এলিভেটেড ফ্লাইওভারসহ (বাস র্যাপিড ট্রানজিট) বিআরটির উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ। প্রায় ১১ বছর ধরে চলা এই প্রকল্পের অগ্রগতি আশানুরূপ না হওয়ায় দুর্ভোগ কমেনি।
পাশাপাশি মহাসড়কের মাঝামাঝি থেকে অনেক যাত্রী বিভিন্ন পরিবহনে উঠতে চাইছেন। এ জন্য বাস-ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহনকে গতি কমাতে হচ্ছে। এতেও স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমাতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি জেলা ও শিল্প পুলিশের সদস্যরাও মহাসড়কে চলাচলে গতি আনতে কাজ করছেন। তবে যাত্রী ও চালকেরা সচেতন থাকলে যানজট অনেকটা কমে আসবে বলে জানান তিনি।