জুন ১১, ২০২৩, ০৫:২৮ পিএম
দিন পেরোলেই খুলনা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এদিকে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী ভোটকেন্দ্রে গেলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি। এভাবেই ভোটকেন্দ্রে যাওয়া ঠেকাতে চাইছে দলটি। খুলনা নগরীর ৩১টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে তদারক দল গঠন করেছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতারা।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার অবস্থানে থেকে এবার সিটি নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি। কয়েক দফা নির্দেশ দেওয়ার পরও খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত না মেনে প্রার্থী হওয়ায় এরই মধ্যে ৯ জনকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিএনপি। এমনকি বিভিন্ন প্রার্থীর প্রচারকাজে অংশ নেওয়ায় ১১ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। এখন দলটি আরও কঠোর অবস্থানে গিয়ে ভোটকেন্দ্রে গেলেই সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ভাবছে।
অন্যদিকে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে দলের কাউন্সিলর প্রার্থী ও নেতা-কর্মী-সমর্থকদের তৎপর থাকার নির্দেশনা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
মেয়র পদে জোরালো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ। বিএনপির নেতা-কর্মীরা ভোটকেন্দ্রে না গেলেও সাধারণ ভোটারদের ওপর নেতিবাচক কোনো প্রভাব পড়বে না বলে করছেন দলটির নেতারা। ভোটে অংশ নেওয়া সব দলের মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থক ও সাধারণ ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ তাঁরা দেখছেন। ফলে ভোটার উপস্থিতি কম হবে না বলে তাদের বিশ্বাস।
এদিকে খুলনায় বিএনপির কোনো মেয়র প্রার্থী না থাকায় বিএনপির ভোট জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনের ভোটবাক্সে যাবে দাবি করছেন ওই দুই দলের প্রার্থী। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী শফিকুর রহমানও বিএনপির ভোট পাওয়া নিয়ে আশাবাদী।