জুলাই ৯, ২০২১, ০৮:২৪ পিএম
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ এলাকায় হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজ লিমিটেডের কারখানায় পুড়ে কয়লা হতে হল ৫২ জনকে। কিন্তু এই দূর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা আরও কম হত যদি স্থানীয়রা শুরুতেই বাধা না দিয়ে সাহায্য করত।আনোয়ার রানা নামে এক স্বেচ্ছাসেবক দ্য রিপোর্টকে এ কথা জানায়।
রাতেই বাধা দেয় স্থানীয়রা
স্বেচ্ছাসেবকরা অভিযোগ করেন, রাতেই স্থানীয়রা ভীড় করে ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কাজে বাধা প্রদান করেন। এছাড়া তারা স্বেচ্ছাসেবক হওয়া সত্ত্বেত তাদের জেরা করা হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত কয়েক দফা পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে স্থানীয়দের।
সর্বাত্মক সহযোগিতার আহ্বান
রিয়া আক্তার নামে এক স্বেচ্ছাসেবক দ্য রিপোর্টকে বলেন, শুরু আমাদের কাজে বাধা দিলেও পরবর্তীতে সহযোগীতা করেন অনেকে। তবে কোন দূর্ঘটনায় জনসাধরনের ভিড় না করার অনুরোধ করেন তিনি।
হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজে ৪,৫ ও ৬ তলার লাশ এনে ৪ তলায় স্তুপ করে রাখা হয়। এরপর তাদের ব্যাগে ভরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে পাঠান হয়। অনেকের লাশই শনাক্তের অনুপযোগি বলে মন্তব্য করেন এই স্বেচ্ছাসেবী।
শুরুতে স্থানীয়দের বাধার সম্মুখীন হয় বলে জানায় স্বেচ্ছাসেবীরা।
কারখানার সরঞ্জাম এখনও মূল্যবান
হাসেম ফুড এন্ড বেভারেজের নিরাপত্তা প্রহরীরা জানায়, আগুন একটি কারখানায় লাগলেও বাকি ৬ টি কারাখান অক্ষত। এছাড়া আগুনে লাগা সরঞ্জামও মূল্যবান। অনেক স্থানীয়রা তাই উস্কানি দিয়ে মালামাল সরিয়ে ফেলার পায়তারা করছে।