জুন ২৪, ২০২৩, ০১:৫৫ পিএম
রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে ‘ভুল চিকিৎসায়’ ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যু নিয়ে নানা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। হাসপাতালের গাইনি গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. সংযুক্তা সাহা নিজেই বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) নিবন্ধিত চিকিৎসক নন।
এবিষয়ে তিনি বলেন, “আমার আগেই নিবন্ধন নেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমি এত ব্যস্ত থাকি যে, সময় পাইনি। এটা আমার ভুল হয়েছে।”
শনিবার (২৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে নিজ বাসায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
১৩ বছর ধরে বিএমডিসি’র নিবন্ধন না থাকার কারণ জানতে চাইলে দেশের বিশিষ্ট এই গাইনি বিষেষজ্ঞ আরও বলেন, “আমার নিবন্ধন নেই, বিষয়টি কিন্তু এমন নয়। নিবন্ধন আছে, তবে সেটি রিনিউ করা হয়নি। বিএমডিসিতে রিনিউয়ের একটা ফি দিতে হয়, এটা গত বছর থেকেই অনলাইন সিস্টেম ছিল এটা আমি জানতাম না।”
এই দীর্ঘ সময় ধরে বিএমডিসির নিবন্ধন কেন করলেন না-এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. সংযুক্তা বলেন, “আমি মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় নিবন্ধনের বিষয়গুলো তারাই (হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ) হ্যান্ডেল করত। কাগজপত্র নিয়ে তারাই রিনিউ করে নিয়ে আসত। এখানে (সেন্ট্রাল হাসপাতালে) আসার পর সেটি আর হয়ে ওঠেনি।”
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে ডা. সংযুক্তা সাহা বলেন, “মিডিয়াতে বেশি কথা বলে আমি কনফিউশনের সৃষ্টি করতে চাই না। ইতোমধ্যে আমাদের কোটি-কোটি জনগণ কনফিউজড। এতভাবে রিপোর্টিং হচ্ছে, এই টিভি বলে এই কথা, ওই টিভি বলে ওই কথা। আসলে আমি নিজে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেছি। আমার পক্ষে কথা বলাটাও এখন সম্ভব হচ্ছে না।”
এসময় তিনি আরও বলেন, “আমি তো আমার বাসায় আসারই সময় পাই না। নতুন চাকরির ক্ষেত্রে আমাদের কাগজপত্র ঠিক করতে হয়, আমার নতুন কোনো চাকরি হয়নি, তাই কাগজপত্র ঠিক করা হয়নি।”