জুন ১১, ২০২৩, ১১:৩৫ এএম
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বে কে আসতে আসবেন সে নিয়ে দ্বিধা ও অনিশ্চয়তাই সবার মাঝে। কেন না কীর্তনখোলার মাটিতে একার রাজত্ব নৌকা-বিএনপি বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কারও পক্ষেই করা সম্ভব হয়নি। এবার নির্বাচনে বিএনপি না থাকলে ভোটের লড়াইয়ের হিসাব-নিকাশে ঠিকই গুরুত্ব পাচ্ছে দলটির সমর্থন।
বিএনপির ‘ভোটব্যাংকের’ দিকে নজর রেখেই নির্বাচনি প্রচারণা শেষ করেছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। তবে প্রচার শেষ হলেও আলোচনার মূল বিষয়ই এখন কোন পক্ষে যাবে বিএনপির সমর্থকরা।
মেয়রপ্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মাঠে লড়ছেন আবুল খায়ের আবদুল্লাহ। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী সৈয়দ ফয়জুল করিম, সাবেক মেয়র আহসান হাবীব কামালের ছেলে কামরুল আহসান ওরফে রূপণ এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেনের মধ্যে কারও নামই পাকাপোক্তভাবে সামনে আনা সম্ভব হচ্ছে না।
কেন না এই তিনপ্রার্থীই আওয়ামী লীগের বিপরীতে এবং বিএনপির সমর্থকরা কোন প্রার্থীর পক্ষে দাঁড়াবেন সেটাই এখন চিন্তায় ফেলেছে খায়ের আবদুল্লাহর সমর্থকদের।
অনেক নেতারাই ভাবছেন গাজীপুর সিটি নির্বাচনের চিত্রের রূপায়ন বরিশালেও হয় কি না।
নির্বাচনি প্রচারণা বা ভোট নিয়ে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এখনও বরিশালে সৃষ্টি হয়নি। এর আগে ২০১৮ সালে নির্বাচনের আগেও এ নিয়ে বেশ ভীতিকর পরিস্থিতি ছিল কিন্তু এবার প্রচারণাও শান্তিপূর্ণ হওয়ায় ভোটের দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এখন লড়াইতে না বিএনপির পক্ষের ভোট কার ভাগ্যে যাবে সেই হিসাব-নিকাশটা আলোচনায় বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।
চতুর্মুখী ভোটের লড়াইয়ে দৌড়ে এগিয়ে নৌকা। তবে হাতপাখা, স্বতন্ত্র দেয়াল ঘড়ি আর জাপার প্রভাব, বিএনপির পরোক্ষ দাপট- সব মিলিয়ে এক শক্ত লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছে এই নগরের ভোট।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে ৭ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে নগরের পরবর্তী অভিভাবক বেছে নিবেন ২ লাখ ৭৪ হাজার ভোটার। সোমবার (১২ জুন) সকালে শুরু হবে ভোটগ্রহণ।