জুন ২২, ২০২৩, ০৯:০৫ পিএম
ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। প্রার্থীতা ফিরে পেয়ে হিরো আলম জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জয়ের ব্যাপারে আমি শতভাগ নিশ্চিত।
নির্বাচন কমিশনে করা আপিল শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে দেয়া সাক্ষাৎকারে হিরো আলম তার জয়ের বিষয়ে আশা প্রকাশ করেন। দেশের আলোচিত এই ইউটিউবার বলেন, “আমি জনগণের মানুষ, জনগণ আমাকে ভোট দিবে। ভোট দখল করার চেষ্টা করে লাভ হবে না, যদি জনগণ আমার পাশে থাকে। নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয় আমি শতভাগ নিশ্চিত যে আমি পাশ করবো।”
কে প্রার্থীতা বাতিল হয়েছিল জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, “রিটার্নিং অফিসাররা ঠিকভাবে পরীক্ষা করেনি তাই প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ঠিকভাবে যাচাইবাচাই করে আমার প্রার্থীতা ফিরিয়ে দিয়েছে।” প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদও জানান হিরো আলম।
হিরো আলম আরও জানান, বিভিন্ন দল থেকে তাকে মনোনয়ন দিতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়তে চেয়েছেন।
বিভিন্ন দল তার বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র ও কারসাজি’ করে বগুড়ায় তাকে হারিয়ে দিয়েছে উল্লেখ করে হিরো আলম বলেন, `“বগুড়ায় আমার বিরুদ্ধে যে ‘নয়-ছয়’ হয়েছে তার প্রতিবাদ স্বরূপ ঢাকা-১৭ আসনে নির্বাচনে লড়াই করছি। `
সাক্ষাতকালে হিরো আলম জানান, আসছে ২৬ জুন প্রতীক বরাদ্দের পর আনুষ্ঠানিক প্রচারণায় নামবেন তিনি। প্রান্তিক থেকে এলিট সব ভোটারের কাছে পৌঁছাতে চান হিরো আলম। অন্য আট প্রার্থীর থেকে নিজেকে শক্তিশালী প্রার্থী বলে মনে করেন তিনি।
গত রবিবার বাছাইয়ে হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল করেন রিটানিং অফিসার। গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে সশরীর হাজির হয়ে আপিল করেন তিনি। বৃহস্পতিবার তিনি প্রার্থীতা ফিরে পেলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ মে চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠান (ফারুক) মারা যাওয়ার পর ঢাকা-১৭ আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১৭ জুলাই এই আসনে উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাজধানীর গুলশান, বনানী, ভাষানটেক থানা ও সেনানিবাস এলাকা নিয়ে এই সংসদীয় আসন গঠিত।
এর আগে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হিরো আলম। ওই সময়ও যাচাই–বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। সেখানেও ব্যর্থ হয়ে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন। উচ্চ আদালতের আদেশে তিনি প্রার্থীতা ফিরে পান।