ছোট্ট শিশু জিদনী। ওর বয়স সবে তিন বছর। সেই কন্যাশিশুর সাথে খেলছিলেন তার মা। খেলার ফাঁকে ফাঁকে মেয়ের মুখে তুলে দিচ্ছিলেন নুডুলস! এরই এক ফাঁকে অসাবাধনতাবশত মেয়ের মুখে চলে যায় আস্ত একটি সেফটিপিন। পরে গলায় সেই সেফটিপিন আটকে মেয়েটি হয়ে পড়ে অসুস্থ। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চেষ্টা করা হয়েছে সেফটিপিন অপসারণের। সম্ভব না হওয়ায় তাকে নেওয়া হয়েছে ঢাকায়।
ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের লালপুর উপজেলার বড় বাড্ডা এলাকায়। জিদনী বাড্ডার শফিকুল ইসলামের মেয়ে।
শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জিদনী খাবে না বলে বায়না ধরে। এতে তার মা জুলেখা বেগম নানা ছলাকলায় খাওয়ানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে শিশুটিকে মেঝেতে নামিয়ে খেলার ছলে নুডুলস খাওয়াতে শুরু করে। এর কিছুক্ষণের মধ্যে জিদনি বমি করতে শুরু করে। শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাঘা সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তির পর এক্সরে করানো হয়। দেখা যায়, গলায় আটকে আছে আস্ত সেফটিপিন।
ওই ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক জানিয়েছেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গলার ভেতর থেকে সেফটিপিন বের করার মতো চিকিৎসা সরঞ্জাম নেই। সে কারণে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে পরিবারের লোকজন জিদনীকে নিয়ে ঢাকায় রওয়ানা হয়েছে।