পঞ্চগড়ে পুলিশ পাহারায় ৭ জনের ঈদের নামাজ আদায়!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ২০, ২০২১, ০৩:২৭ পিএম

পঞ্চগড়ে পুলিশ পাহারায় ৭ জনের ঈদের নামাজ আদায়!

সৌদিআরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ উল আজহা। সকালেই ঈদের সামাজ পড়েছেন এসব দেশের  জনগণ।সৌদির সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের কোথাও কোথাও হাতেগোনা কয়েকজন মানুষ মঙ্গলবার ঈদ উদযাপন করেছেন। ঈদের জামাতে নামাজও পড়েছেন।এমনই ঘটনা ঘটেছে পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাফিজাবাদ ইউনিয়নের উত্তর কামারপাড়া জামে মসজিদে।  

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) সকাল ১০টার দিকে পুলিশ পাহারায় এলাকার চারটি পরিবারের মাত্র ৭ জন লোক ঈদের জামাত আদায় করেন। পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্ লতিফ মিয়া বিষয়টি দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উত্তর কামারপাড়া জামে মসজিদে ৭২ টি পরিবারের সদস্যরা নামাজ পড়ে থাকেন। এর মধ্যে মাত্র  ৪টি পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের জামাত আদায় করার পক্ষে থাকলেও অন্য  ৬৮ পরিবার ওই বিষয়ে বিরোধিতা করে।

মঙ্গলবার সকালে কামারপাড়া গ্রামের ৪টি পরিবার এবং জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৫০ জন নারী পুরুষ একদিন আগে ঈদের জামাত আদায় করার প্রস্তুতি নেয়। এ সময় ওই গ্রামের ৬৮টি পরিবারের লোকজন মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম এবং সহ-সভাপতি আব্দুল কাদেরের নেতৃত্বে মসজিদের উত্তর পার্শে মহিলাদের সামিয়ানা প্যান্ডেল ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। পরে ঈদের জামাত যাতে না হয় তার জন্য পাহারা দেয়। এতে  চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হলে পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্ লতিফ মিয়াসহ পুলিশের একটি দল গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করেন। পরে পুলিশের পাহারায় তাওই চার পরিবারের সাত সদস্য ঈদের জামাত আদায় করেন।

পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল লতিফ মিঞা বলেন, ‘সৌদি আরবের সাথে মিল  রেখে নামাজ পড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। সংবাদ পেয়ে অঅমি কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হই। পরে উভয় পক্ষকে শান্ত করে ৪ পরিবারের ৭ জনকে নামাজ আদায়ের জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’ সৌদির সঙ্গে মিল রেখে নামাজ পড়া নিয়ে বিরোধ মেটাতে  দুই পক্ষকে বৈঠকে বসতে বলা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

Link copied!