ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০৩:০৭ পিএম
পটুয়াখালীর ইমরানকে বিয়ের জন্য অপেক্ষা করেছিলেন েইন্দোনেশিয়ার তরুণী নিকি উল ফিয়া। ইমরানের বিয়ের বয়স না হওয়ায় এই অপেক্ষা। ফিয়ার সেই অপেক্ষার শেষ পর্যন্ত অবসান ঘটলো। বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন ইমরান-ফিয়া।
স্থানীয় পত্রিকার খবর থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালে প্রেমকে পরিণতি দিতে পটুয়াখালীর বাউফলের যুবক মো. ইমরান হোসেনকে বিয়ের জন্য বাংলাদেশে আসেন ইন্দোনেশিয়ান তরুণী ফিয়া। ইমরানের বিয়ের পর্যাপ্ত বয়স না হওয়ায় ওই সময় ফিরে যেতে হয় তাঁকে। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর আবারও বিয়ের জন্য এসেছেন ফিয়া। অবশেষে এক হতে যাচ্ছেন তাঁরা। আগামী ১ মার্চ গায়েহলুদ ও ২ মার্চ তাঁদের বিয়ে আনুষ্ঠানিকতা হবে বলে জানিয়েছে ইমরানের পরিবার।
ফিয়া ইন্দোনেশিয়ার সুরা বায়া বিভাগের জাওয়া গ্রামের ইউ লি আন থোর মেয়ে। ইমরান হোসেন উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের খাজুরবাড়িয়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। ইমরান একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত আছেন।
ইমরানের পরিবার জানায়, ২০১৬ সালে ফেসবুকে ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম পরিবারের মেয়ে ফিয়ার সাথে ইমরানের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর বন্ধুত্বের একপর্যায়ে তাঁদের সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। ফিয়া ইমরানকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। ইমরানের পরিবার থেকে কোন আপত্তি না থাকায় ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর হযরত শাহ জালাল বিমান বন্দরে নামেন। সেখান থেকে ইমরান তখন ফিয়াকে বাউফলের নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
ইমরানের বাবা বলছেন, ২০১৭ সালের ওই সময় ইমরানের বয়স হয় ১৯ বছর। ২১ বছর না হওয়ায় আইনি জটিলতা দেখা দেয়। এমন পরিস্থিতিতে নিজ দেশে ফিরে যায় নিকি। তবে যাওয়ার সময় আমাদের বলেছিল, ‘ইমরানের বয়স না হওয়া পর্যন্ত আমি অপেক্ষা করব। এখন অপেক্ষা দিন শেষ হওয়ার পথে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ মার্চ গায়েহলুদ ও ২ মার্চ বিয়ে অনুষ্ঠান হবে।’
ইমরান বলেন, ফিয়ার সাথে আমার যোগাযোগ অব্যাহত ছিল। ধীরে ধীরে আমরা একে অরপরের প্রতি আরও দায়িত্বশীল হয়েছি। দীর্ঘ বছরের অপেক্ষা এখন শুভ পরিণয় হওয়ার পথে। ভাবতেই যেন এ এক অন্যরকম ভালো লাগা।