যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সিরাজগঞ্জের চরাঞ্চলে বন্যা পরস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। সর্বশেষ ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমার ৬৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী এ কে এম রফকিুল ইসলাম দ্যা রিপোর্টকে জানান, ‘প্রকৃতপক্ষে বন্যার পানি চরাঞ্চলে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা কর্মচারিরা শহর রক্ষা বাঁধসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নজরদারি করছে যাতে কোন বিপদরে আগেই সর্তক হওয়া যায়। তিনি আরো জানান, আগামী ৪ সেপ্টেম্বর র্পযন্ত পানি বাড়বে। তার পর এসব এলাকায় পরস্থিতির উন্নতি হবে বলে মনে করনে তিনি।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল। এতে জেলার পাঁচটি উপজলোর ২৮টি ইউনিয়নের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ায় দূর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে। দেখা দিয়েছে খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট। তলিয়ে গেছে অনেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ, রাস্তাঘাট, বিস্তৃত রোপা আমনের ক্ষেত। ভাঙনের ফলে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন চৌহালী ও শাহজাদপুররে নদী পাড়ের মানুষ। বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানায় পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সিরাজগঞ্জ জেলার প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ দ্যা রিপোর্টকে জানান, ‘যেসব এলাকা প্লাবতি হয়েছে সেগুলো মূলত চর এলাকা। এসব এলাকা নিচু হওয়ায় নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলেইে এসব এলাকা প্লাবিত হয়। তিনি আরো বলেন, সিরাজগঞ্জের কাজীপুর, বেলকুচি চৌহালিসহ ৫ টি উপজেলার চরাঞ্চলে বন্যার প্রকোপ বেশি। জেলা প্রশাসক পানি কমার বিষয়টি আমলে এনে বলেন, আগামী দুই একদিনের মধ্যে পানি নেমে যাওয়া শুরু করবে। তারপরও এসব এলাকার স্থানীয় প্রশাসনকে নগদ টাকা ও ত্রাণ সহায়তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে দ্যা রিপোর্টের এক প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক ড.ফারুক আহাম্মদ বলনে, পানি বিপৎসীমার ১ মিটার উপরে না যাওয়া পর্যন্ত সেরকম কোন বিপদের আশঙ্কা নেই। তবে প্রস্তুতি হিসেবে ২৮ হাজার পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা দেওয়া ছাড়াও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও এসব এলাকায় ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছে বলে জানান তিনি।
এছাড়াও তিনি আরো জানান, চর ও নিম্নাঞ্চলের যেসব এলাকায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে সেসব এলাকার কৃষি বিভাগকে ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণ করে রিপোর্ট দিলে সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।