টানা দুই মেয়াদে ১০ বছর রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে বঙ্গভবন ছেড়ে রাজধানীতে নিজ বাড়িতে উঠেছেন সদ্যবিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেশের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা পাওয়া আবদুল হামিদ এখন সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে কী কী সুযোগ-সুবিধা পাবেন তা নিয়ে আগ্রহের শেষ নেই।
দেশের সাবেক রাষ্ট্রপতিরা যেসব সুবিধা পান
দ্য প্রেসিডেন্টস (রেম্যুনারেশন অ্যান্ড প্রিভিলেজেস) অ্যাক্ট অনুযায়ী একজন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে অবসরে যাওয়ার পর অবসর ভাতা, চিকিৎসাসুবিধাসহ বেশ কিছু সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকেন।
একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি সর্বশেষ যে বেতন পেতেন, তার ৭৫ শতাংশ অবসর ভাতা পাবেন আমৃত্যু। বর্তমানে রাষ্ট্রপতির মাসিক বেতন ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। এই হিসাবে অবসরের পর আবদুল হামিদ মাসে ৯০ হাজার টাকা অবসর ভাতা পাবেন।
রাষ্ট্রপতি অবসর ভাতা গ্রহণ করে মারা গেলে তার বিধবা স্ত্রী অথবা বিপত্নীক স্বামী তার প্রাপ্য অবসর ভাতার দুই-তৃতীয়াংশ পাবেন আমৃত্যু।
সরকারি অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য বিনামূল্যে সরকারি গাড়িও পেয়ে থাকেন সাবেক রাষ্ট্রপতি।
সাবেক রাষ্ট্রপতি তার বাসভবনে একটি নির্ধারিত সীমা পর্যন্ত টেলিফোন সংযোগের বিল ছাড় পাবেন।
বিদেশে ভ্রমণের জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট পাবেন এবং দেশের ভেতর ভ্রমণকালে সরকারি সার্কিট হাউস বা রেস্টহাউসে বিনা ভাড়ায় থাকতে পারবেন।
আইনানুযায়ী, চিকিৎসা সুবিধা, কূটনৈতিক পাসপোর্ট এবং দেশের ভেতরে সরকারি সার্কিট হাউস বা রেস্টহাউসে বিনা ভাড়ায় অবস্থানের সুবিধা মো. আবদুল হামিদের স্ত্রীও পাবেন।
যদিও সোমবার দায়িত্ব হস্তান্তরের পর বঙ্গভবন ছেড়ে আবদুল হামিদ ওঠেন রাজধানীর নিকুঞ্জ-১ এ তার নিজ বাড়িতে।
এই বাড়িতে থাকাকালীন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত নিরাপত্তা পাবেন তিনি।
এছাড়া্ও আইনানুযায়ী অবসরে যাওয়ার পর সাবেক রাষ্ট্রপতি হিসেবে আরো কিছু সুবিধাও পাবেন মো. আবদুল হামিদ।
তিনি একজন ব্যক্তিগত সহকারী ও একজন অ্যাটেনডেন্ট (সাহায্যকারী) পাবেন। দাপ্তরিক ব্যয়ও পাবেন, যার মোট বার্ষিক পরিমাণ সরকার নির্ধারণ করবে। একজন মন্ত্রীর প্রাপ্য চিকিৎসা সুবিধার সমপরিমাণ চিকিৎসা সুবিধাদিও পাবেন সাবেক এই রাষ্ট্রপতি।
জাতীয় সংসদের সাবেক স্পিকার আবদুল হামিদ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান বিদেশে চিকিৎসাধীন থাকার সময় কিছুদিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি এবং জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর বেশ কিছুদিন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে বিদায় নিলেন তিনি।