বায়ুদূষণে ‘অস্বাস্থ্যকর’ মান নিয়ে তৃতীয় স্থানে ঢাকা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ১১, ২০২৩, ১০:৩৬ এএম

বায়ুদূষণে ‘অস্বাস্থ্যকর’ মান নিয়ে তৃতীয় স্থানে ঢাকা

বায়ুদূষণের কারণে বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় শনিবার তৃতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকার নাম। বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ১৯৮ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’।

এর আগে গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসজুড়ে ঢাকার বায়ু ছিল ‘অস্বাস্থ্যকর’ বা ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায়। প্রায় প্রতিদিনই দূষিত বায়ুর তালিকায় শীর্ষে ছিল ঢাকা।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

শনিবার (১১ মার্চ) একিউএয়ারের তথ্য অনুযায়ি, ২০৮ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার শীর্ষে অবস্থান করছে ইরাকের রাজধানী শহর বাগদাদ। ২০৩ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। ১৯৮ স্কোর নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই। শহরটিতে বাতাসের  একিউআই স্কোর ১৮৮।

এছাড়া, একিউআই স্কোর ১৭৯ নিয়ে মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে। নেপালের কাঠমান্ডু রয়েছে ১৭৫ স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে। ১৬৯ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে দক্ষিণ কোরিয়ার ইনচিওন। ভারতের মুম্বাই রয়েছে ৯ম স্থানে। শহরটিতে বাতাসের একিউআই স্কোর ১৬০।  ১৫৫ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউল।

প্রসঙ্গত, পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলা। শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে নির্মাণকাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে ঢাকা শহরের বাতাসের গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।

বায়ুদূষণের ফলে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি বাড়ছে। বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদফতরের মতে, বায়ু দূষণের কারণে বাংলাদেশে প্রতি বছর ৮০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছেন। 

 

 

Link copied!