ডিসেম্বর ২৮, ২০২১, ০৮:১২ পিএম
ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রেখেছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, “নিষ্ক্রিয়তা তো আছে। জাহাজের কন্ডিশন না দেখে কর্মকর্তা যাত্রা শুরুর অনুমতি দিয়ে দিলেন। বিআইডব্লিউটিএর কি এখানে কোনো দায়িত্ব নেই?”
এ ঘটনায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে নির্দেশনা চেয়ে করা পৃথক দুটি রিটের শুনানিতে মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এমন প্রশ্ন রাখেন।
শুনানির একপর্যায়ে ওই লঞ্চে আগুন প্রতিরোধে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিআইডব্লিউটিএসহ বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা প্রশ্নে আদালত রুল দেওয়ার অভিমত জানান।
তখন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার বলেন, নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন মালিক। এখানে সরকারের কোনো নিষ্ক্রিয়তা নেই। একপর্যায়ে আদালত ওই কথা বলেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে আদালত আরও বলেন, “আপনি নিষ্ক্রিয়তা নিজের ঘাড়ে নিচ্ছেন। এখানে সরকারের নয়, মালিকপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবারই নিষ্ক্রিয়তা আছে। যিনি সার্টিফিকেট (লঞ্চের যাত্রা শুরুর অনুমতি) দিয়েছেন, তাকে আগে গ্রেপ্তার করা দরকার ছিল।”
২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ সময় আগুনে পুড়ে ও নদীতে ঝাঁপ দিয়ে অন্তত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন বেশ কিছু যাত্রী। বরগুনা জেলা প্রশাসনের কাছে নিখোঁজের তালিকায় ৩৩ জনের নাম আছে। ঝালকাঠি জেলা পুলিশ যে তালিকা করেছে, তাতে নিখোঁজ ৪০ জন। আর ঝালকাঠি যুব রেড ক্রিসেন্ট যে তালিকা করেছে, তাতে নিখোঁজ ৫১ জন।