নভেম্বর ১৩, ২০২১, ১০:১৯ পিএম
সরকারি পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার হওয়াদের মধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। শনিবার (১৩ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তারের আদালত ওই দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এই মামলার আরও চার আসামিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর রনপ কুমার এ তথ্য জানান।
এর আগে, রাজধানীর বাড্ডা থানায় দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ৬ আসামিকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করেন। এসময় অঅসিামিদের মধ্যে দুইজন স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে সম্মত হলে তা রেকর্ড করার আবেদন করেন ওই তদন্ত কর্মকর্তা।
স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেওয়া দুই আসামি হলেন-প্রশ্নফাঁসের মূলহোতা হিসেবে পরিচিত আহসানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি টেকনিশিয়ান মুক্তারুজ্জামান রয়েল ও জনতা ব্যাংকের গুলশান শাখার কর্মকর্তা শামসুল হক শ্যামল।
কারাগারে পাঠানো চার আসামি হলেন- জনতা ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা এমদাদুল হক খোকন, সোহেল রানা, ঢাকা কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল জাবেদ জাহিদ ও পূবালী ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান মিলন।
ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় গত বুধবার (১০ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও পাবলিক পরীক্ষা আইনে ২৮ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বাড্ডা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।