নভেম্বর ১০, ২০২১, ০৫:৪৫ পিএম
বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে সরকারি পাঁচ ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সত্যতা পেয়েছে গোয়েন্দা পুলিশ। তারা বলছে, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন এবং ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অফ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে। এদের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত মোক্তারুজ্জামান রয়েল আহসানউল্লাহ ইউনির্ভাসিটি অব সাইন্স এন্ড টেকনোলজিতে আইসিটিতে টেকনিশিয়ান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ওই পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র সংগ্রহ করেছিলেন বলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।
১৫ লাখেও প্রশ্ন বিক্রি
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, কয়েকটি সরকারি ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তা মিলে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পরীক্ষার্থীদের কাছে ৫-১৫ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। আগেভাগে যাদেরকে প্রশ্নপত্র দেয়ার জন্য চুক্তিভুক্ত করা হয় তাদেরকে ‘গোপন বুথে’ নিয়ে প্রশ্নের উত্তর মুখস্ত করানো হয়। টাকা নিয়ে প্রশ্নপত্র পেয়েছে এমন ২ শতাধিক পরীক্ষার্থীর তালিকা পাওয়া গেছে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জড়িত
প্রশ্নপত্র ফাঁসকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ডিবি পুলিশের তেজগাঁও বিভাগ। গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন মোক্তারুজ্জামান রয়েল, শামসুল হক শ্যামল, জানে আলম মিলন, মোস্তাফিজুর রহামান মিনল ও রাইসুল ইসলাম স্বপন। তাদের তিনজন বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকে কর্মরত।
ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বুধবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেন, ‘গত ৬ নভেম্বর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। চক্রের আরও সদস্য রয়েছে। তাদেরও গ্রেপ্তারে ডিবির অভিযান চলছে।’ বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় ৬ নভেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্রে রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকে অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ১ হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে এ পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন চাকরিপ্রত্যাশী।