ভাগ্নিকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে দুই মামা আটক

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

অক্টোবর ৮, ২০২১, ০৩:৩০ এএম

ভাগ্নিকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে দুই মামা আটক

চাঁদপুরের কচুয়ায় ১৪ বছর বয়সী আপন ভাগ্নিকে ধর্ষনের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হওয়া এবং জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর অভিযোগে ধর্ষক ও সহায়তাকারী দুজনকে আটক করেছে র‌্যার‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন(র‌্যাব)।

বুধবার গভীর রাতে কুমিল্লার লাকসাম থানার মুদাফফরগঞ্জ ও চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার বানিয়া দিঘীরপাড় এলাকা থেকে র‌্যাব তাদের আটক করে।

আটক দুজন হলেন চাঁদপুরের কচুয়া থানার জুনাসার গ্রামের শিপন হোসেন ও মফিজুল ইসলাম। তারা সম্পর্কে সৎভাই বলে র‌্যাব-১১ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

প্রেস বিঞ্জপ্তিতে র‌্যাব-১১ এর উপ-পরিচালক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের অপরাধের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। আসামীদের বিরুদ্ধে কচুয়া থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। ধর্ষণের মতো সামাজিক অপরাধের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, গত বছরের অক্টোবর হতে  চলতি বছরের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে শিপন হোসেন তার ১৪ বছর বয়সী  আপন ভাগ্নিকে একাধিকবার ধর্ষণ করলে  এক পর্যায়ে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়।

বিষয়টি বুঝতে পেরে মেয়েটির মা তার ভাই মো. মফিজুল ইসলামকে জানালে সে বিষয়টি কারও কাছে প্রকাশ করতে নিষেধ করে।

এরই মধ্যে মফিজুল ওই মেয়েটির পরিবারকে লাকসামে একটি ভাড়া বাড়িতে জোরপূর্বক রেখে আসেন। সেখানে থাকা অবস্থায় ভিকটিমকে গর্ভপাত করানোর জন্য জোরপূর্বক ওষুধ সেবন করানো হয়। ওষুধ সেবনের ফলে গত ২৪ মে ভাগ্নিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে একটি মৃত সন্তান জন্ম দেয়। পরে কোনো ধর্মীয় বিধান অনুসরণ না করেই দ্রুত মফিজুল শিশুটিকে দাফন করেন।

পরবর্তীতে মফিজুল বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভিকটিমের পরিবার ও ভিকটিমকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখান। অকালে গর্ভপাতের ফলে ভিকটিম অসুস্থ হওয়ায় মেয়েটির মা মফিজুলকে বিষয়টি জানিয়ে চিকিৎসার জন্য সাহায্য চায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মফিজুল ওই ভিকটিম ও তার মাকে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। বিষয়টি কারও কাছে না বলার জন্য বারবার হুমকি দিয়ে ধর্ষক মো. শিপনকে আত্মগোপনে রাখে।

ভিকটিমের মা  মোবাইল ফোনে বিষয়টি র‌্যাব-১১, সিপিসি-২, কুমিল্লা ক্যাম্পকে অবহিত করলে র‌্যাব-১১, বিভিন্ন তথ্য প্রমাণ সংগ্রহ করতে থাকে।

পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ এর একটি দল বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মো. শিপন (১৯) ও তার সহযোগী মো. মফিজুল ইসলামকে (৩৫) আটক করে। প্রাথমিক অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেছে তারা।

Link copied!