ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দাবি: প্রতিবন্ধীদের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ১৫, ২০২৩, ০২:৪৪ পিএম

ভাতা বৃদ্ধিসহ ১১ দাবি:  প্রতিবন্ধীদের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা

প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মা‌সিক ভাতা ৮৫০ টাকা থে‌কে বা‌ড়ি‌য়ে ৫ হাজার টাকা ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভাতা ২ হাজার টাকা করা এবং যোগ্যতা অনুসারে চাকরিসহ ১১ দফা দাবি জা‌নি‌য়ে‌ছে সংক্ষুব্ধ প্রতিবন্ধী নাগরিক সমাজ। এসব দাবি আদায়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা।

এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন শাহবাগ থেকে জাতীয় সংসদ অভিমুখে পদযাত্রার কথা থাকলেও পুলিশ তাদের ঘিরে রেখেছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর অনলাইন সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে, সংক্ষুব্ধ প্রতিবন্ধী নাগরিক সমাজ এর সদস্য সচিব ইফতেখার মাহমুদ বলেন, “গত ১ জুন যে বাজেট উত্থাপন করা হয়েছে, সেখানে আমাদের প্রতিবন্ধী মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে নাই। তাই আমরা আজকে ১১ দফা দাবিতে জাতীয় সংসদ অভিমুখে পদযাত্রা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাদের ঘিরে রেখেছে। আমরা পদযাত্রা করতে পারব কিনা জানি না। তাই আমরা এখানে অবস্থান নিয়েছি।

“আমদের দাবিগুলো অরাজনৈতিক। বঙ্গবন্ধু চেয়েছেন বাঙ্গালীর অধিকার। আমরা আর আশ্বাস চাই না, আমরা চাই দাবি বাস্তবায়ন। আমাদের কণ্ঠ আর রুদ্ধ করা যাবে না৷”

ইফতেখার বলেন, “গত ৩০ বছর ধরে রাষ্ট্রপতি থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সকলের কাছে আমাদের দাবিসমূহ লিখিত আকারে জানিয়েছি। আমরা বিনিময়ে তিনটা জিনিস পেয়েছি। প্রথমত, আমাদের জন্য ১০ শতাংশ কোটার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তার বাস্তবায়ন নেই। দ্বিতীয়ত পেয়েছি জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, কিন্তু সেখান থেকে প্রতিবন্ধীরা কোনো সুযোগ সুবিধা পাচ্ছে না৷ আর পেয়েছি ভাতা।

তাদের দাবিগুলো হলো-

  • ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটেই প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ভাতা মাসিক ন্যূনতম ৫ হাজার টাকা এবং শিক্ষা উপবৃত্তি মাসিক ২ হাজার টাকা করতে হবে। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ভাতা ও উপবৃত্তি উভয়ই বরাদ্দ করতে হবে।
  • প্রতিবন্ধীদের সরকারি চাকরিতে নিয়োগে বিশেষ নীতিমালা (কোটা) প্রণয়ন।
  • চলতি বাজেটেই বাংলাদেশ ব্যাংকে ১ হাজার কোটি টাকার প্রতিবন্ধী ব্যক্তি উদ্যোক্তা তহবিল গঠন।
  • অনতিবিলম্বে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি উন্নয়ন অধিদপ্তর কার্যকর করা।
  • বাংলা ইশারা ভাষা ইনস্টিটিউট এবং বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, আদালতসহ সব সেবাদান প্রতিষ্ঠানে বিনামূল্যে বাংলা ইশারা ভাষার দোভাষী সেবা নিশ্চিত করা।
  • শিক্ষা ও চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় অভিন্ন জাতীয় শ্রুতিলেখক নীতিমালা।
  • শ্রমজীবী-মেহনতি প্রতিবন্ধী মানুষদের একটি বাড়ি একটি খামার ও আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে আত্মনির্ভরশীল করা।
  • গুরুতর প্রতিবন্ধী মানুষের স্বাস্থ্য ও কেয়ারগিভার ভাতা চালু করা।
  • প্রবেশগম্য অবকাঠামো এবং গণপরিবহন নিশ্চিতে সুনির্দিষ্ট অর্থ বরাদ্দ করা।
  • ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জাতীয় সংসদ, স্থানীয় থেকে জাতীয়, সবপর্যায়ে প্রতিবন্ধী মানুষের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা।
  • মন্ত্রণালয়ভিত্তিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তি সংবেদনশীল বাজেট।
Link copied!