ভারত সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা না পাওয়ায় আফেসোস প্রধানমন্ত্রীর

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৬, ২০২২, ০৯:৫৮ এএম

ভারত সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখা না পাওয়ায় আফেসোস প্রধানমন্ত্রীর

চারদিনের সরকারি সফরে ভারতে এসে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা না হওয়ায় আফসোস করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার ভারত সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে দেশটিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার আয়োজিত সংবর্ধনা ও নৈশভোজ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।

 

নৈশভোজে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে উঠল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও। এসময় শেখ হাসিনা বলেন, “মমতা আমার বোনের মতো। ভেবেছিলাম দিল্লি এলে দেখা হবে। কোনও কারণে এ বার সেটা হল না। তবে তাঁর সাথে তো যে কোনও সময়েই আমার দেখা হতে পারে!” দিল্লিতে দেখা করার আশা জানিয়ে এর আগে মমতাকে চি‌ঠিও দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে ওই চিঠিতে তিনি পদ্মা সেতু দেখার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন। মমতার সঙ্গে আলোচনায় বসাটা বাংলাদেশের আসন্ন ভোটে আওয়ামী লীগের পক্ষে ইতিবাচক প্রভাব ফেলত বলে মনে করা হচ্ছে।

তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে অগ্রগতি না হলেও এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা ওই নৈশভোজ অনুষ্ঠানে জানান, তিনি আশাবাদী। দুই দেশই যে এটা চায়, এ নিয়ে সংশয় নেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দুই দেশের সরকার চাইলে কী হতে পারে স্থলসীমান্ত চুক্তি তার প্রমাণ। অন্য দেশ যখন সীমান্ত নিয়ে যুদ্ধ করে, সুন্দর ভাবে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছি আমরা।”

নৈশভোজে এ দিন বেশ হাসিখুশি ছিলেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা জানান, ইলিশ রফতানির ছাড়পত্র দিয়েই তিনি দিল্লি সফরে এসেছ‌েন। পুজোর সময়ে এ দেশের মানুষকে এটা তাঁর উপহার “

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নানা সূচকে বাংলাদেশের অর্থনীতি এগিয়ে চলেছে। কোভিডের সময়েও যে কয়েকটি হাতে গোনা দেশের রফতানি আয় থিতু ছিল, বাংলাদেশ তার অন্যতম। কিন্তু রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বোঝা বাংলাদেশের মাথায় চেপে বসছে।”

সরকারপ্রধান বলেন, “এগারো লাখ শরণার্থী। ভারত বড় দেশ। রোহিঙ্গাদের মায়ানমারে পাঠানোর বিষয়ে ভারত তৎপর হোক, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

কৃষিপ্রধান দেশ বাংলাদেশের চাষবাসে নদীর পানিই ভরসা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা জানান,  নিম্ন অববাহিকায় থাকার কারণে পলি জমে নদীতে। নাব্যতা কমে যায়। সে জন্য পলি সরাতে সমস্ত নদী ড্রেজ়িং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। তিস্তাও ড্রেজ়িং করা হবে।

 

শেখ হাসিনা বলেন, “ড্রেজ়িং ছাড়া উপায় নেই। ভূগর্ভের পানি নয়, নদীর পানিতেই আমাদের কৃষিকাজ চলে। এখন ভারত যদি এ জন্য ঋণসাহায্য দেয়, ভাল!”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে তিনি আশাবাদী। দুই দেশই যে এটা চায়, এ নিয়ে সংশয় নেই। দুই দেশের সরকার চাইলে কী হতে পারে স্থলসীমান্ত চুক্তি তার প্রমাণ। অন্য দেশ যখন সীমান্ত নিয়ে যুদ্ধ করে, সুন্দর ভাবে সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছি আমরা।” সূত্র: আনন্দবাজার

Link copied!