কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরগুলো থেকে আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। রবিবার (৬ জুন) বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং হাইকমিশনার, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউসের বৈঠক হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) অনুষ্ঠিত বৈঠকে জানানো হয়, সরকার কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত আরও ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বসবাসের উপযোগী ব্যবস্থাসহ সকল মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে। ইতোমধ্যে ভাসানচরের উন্নত পরিবেশ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সহকারী কমিশনার (অপারেশন) রাউফ মাজৌ ভাসানচর পরিদর্শন করেন। তিনি ভাসানচরের অবকাঠামোর প্রশংসা করেন। বলেন, ‘সরকার ভাসানচরে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিনিয়োগ করেছে। আপনি যদি কক্সবাজারের সঙ্গে ভাসানচরের তুলনা করেন, তাহলে ভাসানচর বেশি ভালো।’
২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে দেশটি থেকে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আসেন। আগেরসহ প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে অবস্থান নেন। এরপর কয়েক ধাপে ভাসানচরে স্থানান্তরিত করা হয় রোহিঙ্গাদের। সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নেয়া হয়।