ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩, ০৪:৩৩ পিএম
শাকিবুল হক সজিব নামে এক কলেজছাত্রের পকেটে মাদক পুরে দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যদের গণপিটুনি দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এ সময় তাদের বহনকারী গাড়িও ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। সোমবার দিবাগত রাতে ফতুল্লার পাগলার নিশ্চিন্তাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলের আশপাশের বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, পুলিশের সোর্স পেচা রনি পাগলা এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তিনি নিশ্চিন্তাপুর এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার ব্যবসায়ী শাহজাহানের ছেলে কলেজছাত্র সজিবের পকেটে মাদক দিয়ে টানা-হেঁচড়া করতে থাকেন। এ সময় একটি কালো রঙের মাইক্রোবাসে কয়েকজন সাদা পোশাকের লোক আসেন। তখন পেচা রনি ওই মাইক্রোবাসে সজিবকে ওঠানোর চেষ্টা করেন। সজিব চিৎকার করলে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে মাইক্রোবাসটি আটকে সজিবকে গাড়িতে তোলার কারণ জানতে চান। তখন মাইক্রোবাসে চড়ে আসা সাদা পোশাকধারীরা নিজেদের ডিবি পুলিশ পরিচয় দেন।
এ সময় পুলিশের গাড়িতে সজিবকে কেন ওঠানো হলো–এলাকাবাসীর এই প্রশ্ন নিয়ে ডিবি পুলিশের সাথে ব্যাপক তর্কবিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত এলাকাবাসী গাড়িটির চারপাশের জানালার কাচ ভাঙচুর করে তাদের মারধর করতে থাকেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও অতিরিক্ত ডিবি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপর শাহজাহান ও তাঁর ছেলে সজিবকে আটক করা হয়।
আটক শাহজাহানের স্ত্রী ফিরোজা বেগম জানান, সজিব স্থানীয় হাজি মিছির আলী কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। বেশ কিছুদিন আগে পেচা রনির আত্মীয়স্বজনের সাথে ফুটবল খেলা নিয়ে সজিবের দ্বন্দ্ব হয়। সেই বিরোধের জেরে রনি সজিবের পকেটে মাদক ঢুকিয়ে অভিযুক্ত করেন। এ সময় এলাকাবাসী রনিকে আটক করার চেষ্টা করেন। তখন তাঁর সাথে ডিবি পুলিশ ছিল, এ বিষয়টি এলাকাবাসী জানতো না।
ডিবি পুলিশের ওসি মামুন উর রশিদ বলেন, উপপরিদর্শক আতিক মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে কিছু মাদক কারবারি তাদের মারধরসহ গাড়ি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে ফোর্সসহ আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে কয়েকজনকে মাদকসহ আটক করি।
কলেজছাত্রের পকেটে মাদক দিয়ে আটকের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ওসি মামুন উর রশিদ দাবি করেন, যাকে আটক করা হয়েছে সে কোনো কলেজছাত্র নয়। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে অপপ্রচার করা হয়েছে।