রাজধানীর বারিধারার বাসা থেকে রবিবার (১ আগস্ট) দিবাগত রাতে মাদকদ্রব্যসহ মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে ইয়াবাসহ আরেক মডেল মৌ আক্তারকে গ্রেপ্তার করার পর তাএদর বিরুদ্ধে করা মাদক আইনে মামলায় দুইজনের প্রত্যেককে ৩ দিন রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রাজধানীর গুলশান ও মোহাম্মদপুর থানায় মাদক আইনে করা পৃথক দুটি মামলায় সোমবার (২ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে পিয়াসা ও মৌকে হাজির করে তদন্তের স্বার্থে ও অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ তাদের প্রত্যেকের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আশেক ইমাম তাদের প্রত্যেককে ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে সোমবার (২ আগস্ট) দুপুরে গুলশান থানায় (মামলা নং-৩) পিয়াসার বিরুদ্ধে ও মোহাম্মদপুর থানায় (মামলা নং ১৪) মৌয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
রবিবার (১ আগস্ট) দিবাগত রাতে রাজধানীর বারিধারার বাসা থেকে মাদকদ্রব্যসহ মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাকে গ্রেপ্তা্র করে গোয়েন্দা পুলিশ। ডিবি পুলিশের সদস্যরা পিয়াসার রান্নাঘরের ক্যাবিনেট থেকে ৯ বোতল বিদেশি মদ এবং পিয়াসার ফ্রিজ খুলে একটি আইসক্রিমের বাক্স থেকে সিসা তৈরির কাঁচামাল এবং বেশ কয়েকটি ই-সিগারেট পান পুলিশ সদস্যরা। পিয়াসার কাছ থেকে ৪টি স্মার্টফোনও জব্দ করে পুলিশ।একই রাতে মোহাম্মদপুরে একটি বাসা থেকে ইয়াবাসহ মডেল মৌ আক্তারকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
একই রাতে মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে ইয়াবাসহ আরেক মডেল মরিয়ম আক্তার মৌকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়।
রবিবার রাতে ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ গণমাধ্যমে বলেন ‘গ্রেপ্তারকৃত মৌ ও পিয়াসা তাদের বাসায় মদের আসর বসাতো মূলত উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের ব্ল্যাকমেইল করার জন্য। আমরা পিয়াসা ও মৌয়ের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেইল করার অনেকগুলো অভিযোগ তদন্ত করছিলাম। সেই তদন্তের অংশ হিসেবে ফারিয়া ও মৌয়ের বাসায় অভিযান চালানো হয়।’
গণমাধ্যমে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আরও জানান, মডেল পিয়াসা ও মৌ ব্লাকমেইল করা সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। ওই চক্রের সদস্যরা রাতের রাণী বলেই সংশ্লিষ্টদের কাছে পরিচিত। মডেল হিসেবে পরিচয় দিয়ে রাতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তারা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তানদের সঙ্গে প্রেমের ভাব জমাতেন। এক পর্যায়ে ভাবটা একটু জমে উঠলে ছলে বলে কৌশলে বাসায় নিয়ে আসতেন। পরে আপ্যায়নে নেশাদ্রব্য জাতীয় কিছু খাইয়ে দিয়ে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখতেন। পরবর্তীতে ওই আপত্তিকর ছবিগুলো হয়ে ওঠে তাদের কাড়ি কাড়ি টাকা কামানোর হাতিয়ার। তাদের সাথে তোলা আপত্তিকর ছবি বাবা-মা বা পরিবারের সদস্যদের দেখানোর ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করতেন। হাতিয়ে নিতেন মোটা অংকের অর্থ কিংবা আদায় করে নিতেন নামি-দামিসব পণ্য।