নভেম্বর ১৪, ২০২১, ১১:৫৮ পিএম
সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, বাড়িঘর ভাংচুর ও দফায় দফায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রিপন হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মহসিনা হক কল্পনার লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে ইউনিয়নের নোয়াদ্দা গ্রামে নৌকার প্রার্থী রিপন হোসেনের উঠান বৈঠককে কেন্দ্র করে বিদ্রোহী প্রার্থী মহসিনা হক কল্পনা পক্ষের লোকজন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী মেজবাহউদ্দিন ঢালীর এলাকায় হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি, মোটরসাইকেল ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ করে। এতে কমপক্ষে ৩০টি ঘর ও দু’টি দোকান ভাংচুর করে মহসিনা হক কল্পনা পক্ষের লোক ও সমর্থকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নোয়দ্দা, লক্ষ্মীদিবি, মহেশপুর, ঢালীকান্দি, আনন্দপুর, বেহেরকান্দিসহ কয়েকটি এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে আটক করেছে।
এই ঘটনার জেরেই নৌকার সমর্থক ও বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে মুখোমুখি অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে নোয়দ্দা, লক্ষ্মীদিবি, মহেশপুর, ঢালীকান্দি, আনন্দপুর, বেহেরকান্দিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের সমর্থকরা প্রায় আড়াই শতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ সমর্থক আহত হয়।
পরে আবার দুপুরে নৌকার সমর্থকরা পাল্টা হামলা চালায়। এতে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পরে আশেপাশের ৩টি ওয়ার্ডের ৭টি গ্রামে। শত শত ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকাজুড়ে। দফায় দফায় দুপুর পর্যন্ত পাল্টাপাল্টি হামলায় দুইপক্ষের শতাধিক ঘরবাড়ি ভাংচুর চালানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করে। সংঘর্ষ থামলেও এলাকাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলবে।