যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে লাইলাতুল কদর পালিত

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ২৯, ২০২২, ১০:৩১ এএম

যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে লাইলাতুল কদর পালিত

পবিত্র লাইলাতুল কদরে বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাতভর ইবাদত-বন্দেগিতে কাটিয়েছেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। মসজিদে আর ঘরে আদায় করেছেন নামাজ, করেছেন জিকির-আসগার। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদসহ সারাদেশের সব মসজিদে এশা আর তারাবিহ নামাজের পর নফল ইবাদাত করেছেন মুসল্লীরা।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানরাও নিজেদের গুনাহ মাফ ও মনোবাসনা পূরণের জন্য আল্লাহর দরবারে কান্নাকাটি এবং অধিক সাওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আসকার আর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছেন হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ এ রাত।

লাইলাতুল কদর উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশের মসজিদগুলোতে বিশেষ ইবাদত-বন্দেগির আয়োজন করা হয়। পবিত্র এ রাতে অনেকেই কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেন। মাগরিবের পরপরই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ রাজধানী ঢাকার ছোট বড় সব মসজিদেই মুসল্লিরা সমবেত হন। এশার নামাজ ও খতম তারাবীর শেষ দিন জামাতে আদায়ের পর সবাই নফল নামাজসহ নানা ইবাদত বন্দেগিতে মশগুল হন। অনেকে আবার বাসাবাড়িতে সারা রাত জেগে ইবাদত করেন। বায়তুল মোকাররমে আখেরি মোনাজাতে দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিমের কল্যাণ কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়।

লাইলাতুল কদরের রাত বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে এক অতি গুরুত্বপূর্ণ রাত। লাইলাতুল কদর অর্থ মহিমান্বিত রজনী বা মর্যাদাসম্পন্ন রাত। পবিত্র এ রাতেই মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ওপর নাজিল হয়েছিল পবিত্র মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। পবিত্র কোরআনে এ রাতকে হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। নবী করিম (সা.) এ রাতে নিজে ইবাদতে মশগুল থাকতেন এবং তার সাহাবিদেরও বেশি বেশি ইবাদত করার নির্দেশ দিতেন। রমজান মাসের ২১ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে বেজোড় সংখ্যার রাতেই পবিত্র লাইলাতুল কদর। তবে ২৭ রমজান অর্থাৎ ২৬ রমজান দিবাগত রাতকেই কদরের রাত হিসেবে ধরে নেওয়া হয়।

ইসলাম ধর্মে বলা হয়েছে, অন্যান্য সময়ে এক হাজার মাস ইবাদত করলে যে সওয়াব পাওয়া যায়, লাইলাতুল কদরের রাতের ইবাদতে তার চেয়ে বেশি সওয়াব পাওয়া যায়।

Link copied!