ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩, ০৪:৩৪ পিএম
‘যারা গুজব ও কুতথ্য ছড়ায় তারা সামাজিক মানুষ নয়’ মন্তব্য করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, “তাদের ব্যাড মোটিভ আছে। মিথ্যাচার ও গুজবের মাধ্যমে একটি মহল সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করতে চায়। সেক্ষেত্রে আমাদেরকে আরো সজাগ থাকতে হবে। সঠিক তথ্য দিয়ে তরুণদের কাছে এগিয়ে নিতে হবে।”
বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সুশাসনের লক্ষ্যে কুতথ্য প্রতিরোধ করি’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। দি এশিয়া ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইইডি) এ সেমিনারের আয়োজন করে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “সমাজে দুটি মতাদর্শ আছে। একটি আদর্শ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া; অন্যটি পিছিয়ে দেয়া; ভিন্ন ধারা। লড়াইটা মতাদর্শের; লড়াইটা আদর্শের । কুতথ্য ও গুজব নিয়ে আলোচনা করব; ডিবেট করব। এতে করে অপরাধিরা দুর্বল হয়ে পড়বে। সত্য ও ন্যায়ের পথে আছি। সুস্থ্য সমাজ তৈরি করার জন্য জীবন কাজে লাগাতে পারব।”
ইসলাম কখনো জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদকে লালন করেনা উল্লেখ করে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “যারা খুনি এবং খুনের নেতৃত্ব দিয়েছে তাদেরকে মাওলানা বলি কিভাবে? বাংলাদেশ সৃষ্টির সময় ধর্মকে ব্যবহার করা হয়েছে; টিকেনি। স্বাধিকার ও স্বাধীনতা জয়লাভ করেছে। মানুষ সত্য ও সঠিকটাকে ফাইনালি গ্রহণ করেছে।”
তিনি বলেন, “৭৫ এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সেটিকে পারিবারিক হত্যাকান্ড বলে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। বিষোদকার করা হয়েছে; মিথ্যা গুজব ছড়ানো হয়েছে কিন্তু সেগুলো প্রমাণিত হয়নি।”
৩ রা নভেম্বর হত্যা দেশের ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে-মন্তব্য করে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “ দেশবিরোধি চক্র ভণ্ডামি ও অভিনয় করছে। ভণ্ড অভিনেতারা সমাজের মধ্যে ঢুকে পড়েছে। তারা একদিকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশের কথা বলছে অন্যদিকে সমাজের ক্ষতিকারক বিষয়গুলো রটিয়ে দিচ্ছে। তাদেরসহ কুতথ্য রটনাকারিদের বিরুদ্ধে সবাইকে আরো সজাগ থাকতে হবে।
আয়োজক আইইডি’র নির্বাহি পরিচালক নুমান আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য তানভির শাকিল জয়, সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হক প্রধান, আইইডি’র কোঅর্ডিনেটর জ্যোতি চট্টোপাধ্যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শান্তুনু মজুমদার, দি এশিয়া ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজী, ইউএনডিপি’র কোঅর্ডিনেটর রেবেকা সুলতানা, গবেষক ড. ফাতেমা ইয়াসমিন।