জানুয়ারি ১৮, ২০২৩, ০৬:২৯ পিএম
র্যাবের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য নিয়ে সরকার মিথ্যাচার করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে এটি প্রমাণিত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দলটির স্থায়ী কমিটির ভার্চ্যুয়ালি সভার সিদ্ধান্ত জানাতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ““তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এই নিষেধাজ্ঞা (র্যাবের উপর) তুলে নেবেন এবং বাংলাদেশের সরকার তারা গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন করতে চায়-এই ধরনের একটা ধারণা তারা (সরকার) জনগণকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু গতকাল (মঙ্গলবার) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাস থেকে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, দ্যাটস ইজ এনাফ টু এক্সপ্লেইন দিস; দূতাবাসের সেই স্টেটমেন্টে সেটা ক্লিয়ার হয়ে গেছে।”
এসময় ফখরুল বলেন, “কীভাবে মন্ত্রীরা বলেন- নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। একথা তিনি (লু) বলেননি।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা আরোপে খুব আনন্দিত নই। আমরা বারবার বলেছি- এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য লজ্জাজনক, বাংলাদেশের জন্য লজ্জাজনক যে একটা প্রতিষ্ঠানের উপরে নিষেধাজ্ঞা এসেছে।” এ নিষেধাজ্ঞা সরকারের বিরুদ্ধে আসা উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
ঢাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সাথে বিএনপির কেন বৈঠক হলো না-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দলের মহাসচিব বলেন, “আমাদের সাথে তার কোনো প্রোগ্রাম ছিল না। এবার কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তারা কোনো বৈঠক করেনি।”
বিএনপির কর্মসূচির দিন আওয়ামী লীগের কর্মসূচি’র সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, “তারা যে বাজে ভাষায় কথা বলে তা জঘন্য, অগণতান্ত্রিক। বিরোধী আন্দোলনে জনগণের ঢল দেখে সরকার ভীত হয়ে গেছে।”
আসছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে দলের অন্যতম এই শীর্ষ নেতা বলেন, “আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। আমরা তো বলেই দিয়েছি যে, আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এটা খুব পরিষ্কার কথা।”
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি,এই সরকারের অধীনে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যিনি আছেন তার অধীনে এখানে কখনোই নির্বাচন সুষ্ঠু অবাধ গ্রহণযোগ্য হতে পারবে না।”