মার্চ ১৭, ২০২২, ১১:১৯ এএম
রাজধানীর সাইনবোর্ড থেকে নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্রগ্রাম অংশে প্রায় ৪ কিলোমিটার জুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের।
আজ বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সকালে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে গিয়ে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরের লাঙ্গলবন্দ থেকে রাজধানীর অন্যতম প্রবেশপথ সাইনবোর্ড অংশে তীব্র যানজটের ফলে অনেকে গন্তব্যস্থলে না গিয়ে বাসায় ফিরে আসছে। অনেক যাত্রীদেরকে বাসের জন্য দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এছাড়া বাড়তি ভাড়া আদায় করার অভিযোগ রয়েছে যাত্রীদের।
রাজধানীর সাইনবোর্ডে হাতে জামাকাপড়ের ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা শরিফুল ইসলাম নামের এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, সারাবছর কামকাজ করে মাঝেমধ্যে ছুটি পাই। আর আমার বাড়ি কুমিল্লায় হওয়ার রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে অল্পসময়ে চলে যাই। তবে এবার তিনদিন বন্ধ পেয়েছি তবে রাস্তার যা অবস্থা। কিভাবে যে বাড়িতে যাবো জানি না। দেখছেনই তো ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছি।
আরমান হাবীব নামে এক যাত্রী জানান, সাইনবোর্ডের প্রো-অ্যাকটিভ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে সোনারগাঁয়ের মোঘরাপাড়া থেকে তিনি সকাল ৮ টায় রওনা দেন। এক ঘন্টায় তিনি মাত্র মদনপুর পর্যন্ত আসতে পেরেছেন। যেখানে তার মোঘরাপাড়া থেকে মদনপুরে ১৫ মিনিটে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। এদিকে জসিম উদ্দিন নামে আরেক যাত্রী জানান, অফিসের উদ্দেশ্যে চিটাগাংরোড থেকে বের হোন। তীব্র যানজটের ফলে কাঁচপুরে গিয়েই তার ফেরত আসতে হয়েছে।
এদিকে মহাসড়কে তীব্র যানজটের বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ করিম খান জানান, গতকাল রাতে মদনপুরে একটি সড়ক দুর্ঘটনা হয়। যার ফলে এক ঘন্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। এছাড়া টানা তিনদিনের ছুটি থাকায় মহাসড়কে গাড়ির বাড়তি চাপ রয়েছে। যানজট নিরসনে পুলিশের কয়েকটি টিম কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান হাইওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা।
ওদিকে যানযটের দোহাই দিয়ে অনেক বাসে আবার বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সাইনবোর্ড থেকে কুমিল্লার ২০০ টাকার ভাড়া ২৫০ টাকা করে নিচ্ছে। এছাড়া সাইনবোর্ড থেকে চট্রগ্রামের ভাড়া নন এসি গাড়ীতে ৪৫০ টাকার পরিবর্তে ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা এবং এসি গাড়িতে ৮০০ টাকার ভাড়া ১০০০ টাকা করে নিচ্ছে। বিভিন্ন বাস কাউন্টার কর্তৃপক্ষ বেশি ভাড়া নেওয়ার কথা স্বীকার করলেও এর নানা কারণ দেখাচ্ছে। তারা জানান, তীব্র যানজটের কারণে তাদের গাড়ি সময়মতো গন্তব্যস্থলে পৌঁছাচ্ছে না। যার ফলে তারা ভাড়া বেশি নিতে বাধ্য হচ্ছে।