রাষ্ট্র ও প্রশাসনকে উত্তপ্ত করার বড় হাতিয়ার ‘ধর্ম’: আইভী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মার্চ ২৮, ২০২২, ০৭:৩১ পিএম

রাষ্ট্র ও প্রশাসনকে উত্তপ্ত করার বড় হাতিয়ার ‘ধর্ম’: আইভী

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী মন্তব্য করেছেন, রাষ্ট্র ও প্রশাসনকে উত্তপ্ত করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো 'ধর্ম'।

মেয়র আইভী বলেন, 'রাষ্ট্রকে, প্রশাসনকে উত্তপ্ত করতে ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল কাজে ব্যাঘাত তৈরির সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো 'ধর্ম'। তারা ধর্মকেই বেছে নেয়। সেটাই জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটায়। সুতরাং এগুলো থেকে আমরা সচেতন থাকব। আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমাদের দেশকে ভালোবাসব।'

আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের ডিআইটি আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগার ও নগর মিলনায়তনে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের 'ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ' প্রকল্পের অধীনে আয়োজিত এক কর্মশালার আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আইভী বলেন, 'এ দেশ সম্প্রীতির দেশ। সরকার চায় আমরা সবাই মিলেমিশে একসঙ্গে বসবাস করি। আর আমাদের দেশটা আস্তে আস্তে সামনের দিকে এগিয়ে যাক। পৃথিবীর অনেক দেশ আছে যেখানে একসঙ্গে বহু ধর্মের মানুষ বসবাস করছে। ধর্ম নিয়ে কেউ বাড়াবাড়ি করছে না। কিন্তু, আমাদের দেশে মাঝে মাঝে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থের প্রয়োজনে বিভিন্ন ধরনের ধর্মের কথা বলে উসকিয়ে দিয়ে নিজের কাজ সিদ্ধি করতে চাচ্ছে। তার মধ্যে বহির্বিশ্বের কিছু ইন্ধন থাকে। সব মিলিয়ে কোনো একটা সময় তারা দেশকে অস্থির করতে চায়। অস্থির করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি যেটা, সেটা হলো ধর্ম। এ ধর্মকেই তারা হাতিয়ার হিসেবে বেঁছে নেয়।'

তিনি বলেন, 'বাংলাদেশকে যতবার অস্থির করার চেষ্টা করা হয়েছে ততবারই কিন্তু রাজনীতির পাশাপাশি ধর্ম টেনে আনা হয়েছে। ধর্মকে নিয়ে এসে ধর্মের উন্মাদনা আমরা দেখেছি। তারা এগুলো করার চেষ্টা করেছে। দিন শেষে এটাই প্রমাণিত হয়েছে, এটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না। হবেও না।'

ধর্মীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে আইভী বলেন, 'আপনারা যখন মসজিদে খুতবায় বক্তব্য দেন বা মন্দিরে কথা বলেন বা গির্জায় কথা বলেন তখন সকল ধর্মের সম্প্রীতির কথা বলবেন।'

তিনি বলেন, 'নারায়ণগঞ্জ সম্প্রীতির শহর। এখানে চার ধর্মের শেষ ঠিকানা একসঙ্গে। এই সম্প্রীতির নারায়ণগঞ্জ গড়তে আমরা অনেক সময় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ি। বিশেষ করে নারী বলে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন সমভাবে সব ধর্মের জন্য কাজ করছে। আপনাদের সবার সহযোগিতা চাই। একসঙ্গে কাজ করতে চাই। ধর্মীয় বিভেদ তৈরি করতে যারা চেষ্টা করে তাদের প্রতিহত করবেন, বর্জন করবেন। বুঝানোর চেষ্টা ও দায়িত্ব হলো প্রশাসনের। সঙ্গে আমাদেরও। যেখানেই আমরা যাব সবখানে সম্প্রীতির কথা বলব।'

Link copied!