জুন ১১, ২০২২, ১২:৪৪ পিএম
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং সংস্থাটির সাবেক ও বর্তমান বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সংস্থাটির জবাবদিহিতা নিশ্চিত ও সংস্কার চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। র্যাব সদস্যদের মানবাধিকার আইন মেন চলা ও তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত না হলে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হবে না।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলেই অনলাইন নিউজ পোর্টাল যমুনা নিউজকে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি গত ডিসেম্বরের পর থেকে ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে বেশ অস্বস্তিকর ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনের সাথে ঢাকা গত ছয়মাসে অন্তত চারটি ফোরামে আলোচনা করেছে।এসব আলোচনায় বাইডেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা সন্ত্রাস দমনে র্যাবের প্রশংসা করে জানায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ না হলেও সামরিক ও নিরাপত্তা বিষয়ে দুই দেশের যৌথ কোনো উদ্যোগ থেমে থাকবে না। ওইসব আলোচনায় কীভাবে নিষেধাজ্ঞা উঠতে পারে-তা নিয়ে মার্কিন প্রশাসন স্পষ্টভাবে কোনো কিছু বলেনি।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলেই বলেন, “র্যাবের উল্লেখযোগ্য সংস্কার জরুরি। সেই সাথে মানবাধিকার লংঘনের সাথে যারা জড়িত, তাদের জবাবদিহিতাও আবশ্যক। এগুলো করতে পারলেই কেবল নিষেধাজ্ঞা উঠতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “গত কয়েক মাসে আমরা অনেক বৈঠক করেছি। সামরিক খাতেও যোগাযোগ আমরা বাড়াতে চাই। তবে এ নিষেধাজ্ঞা তাতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।”
সম্প্রতি, এশিয়ায় বাণিজ্য ক্ষেত্রে চীনের একচেটিয়া প্রভাব ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইন্দোপ্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক বা আইপিইএফ নামে যে নতুন অর্থনৈতিক উদ্যোগ গঠিত হয়েছে তাতে প্রতিবেশি দেশ ভারত যুক্ত হয়েছে। জাপানসহ এই উদ্যোগে মোট ১২টি রাষ্ট্র যুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশকে এই উদ্যোগে যোগ দেওয়ার আহবান জানিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এই কূটনীতিক বলেন, “এতে যুক্ত হলে বাংলাদেশও লাভবান হবে। পরিবেশবান্ধব জ্বালানি, ডিজিটালাইজেশনসহ বহু বিষয়ে কাজ করবে এই উদ্যোগ। এর ফলে ত্বরান্বিত হবে উন্নয়ন। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো দরকার বাংলাদেশেরও।”
বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়েও কথা বলেন ডেরেক এইচ শোলেই। দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশকে কৌশলগত অংশীদার মনে করে যুক্তরাষ্ট্র। তাই এদেশের রাজনীতি বিশেষ করে নির্বাচন নিয়ে আগ্রহ আছে দেশটির। তবে ভোটে যুক্তরাষ্ট্র কোনো পক্ষ নেবে না। কোনো দলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দুর্বলতা নেই উল্লেখ করে এই কূটনীতিক বলেন, “আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করি। আর মানবাধিকার, সুশাসন, গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের অগ্রাধিকার।”
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার ৫০ বছরের সম্পর্ক আগামী ৫০ বছর আরও গভীর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের এই কাউন্সিলর।