নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল ও কোস্টগার্ড সদস্যরা। এ ঘটনার সঠিক কারণ অনুসন্ধানে পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৫ এপ্রিল) শীতলক্ষ্যা নদীতে উদ্ধার অভিযান শেষে ওই লঞ্চডুবির ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে এবং দায়দায়িত্ব নির্ধারণ করতে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে এ তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আবদুছ ছাত্তার শেখকে কমিটির আহবায়ক ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) মো. রফিকুল ইসলাম এই কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ নটিক্যাল সার্ভেয়ার ক্যাপ্টেন জসিম উদ্দিন সরকার, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) প্রধান প্রকৌশলী, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরের একজন প্রতিনিধি এবং নৌ পুলিশের একজন প্রতিনিধি।
সোমবার (৪ এপ্রিল) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়েছে, ‘কমিটি দুর্ঘটনার স্থল এবং দুর্ঘটনা কবলিত নৌযান পরিদর্শন করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল অধ্যাদেশ-১৯৭৬ এর ৪৫ নম্বর ধারার (৩) নম্বর উপধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটন এবং দুর্ঘটনার জন্য দায়ী ব্যক্তি/সংস্থাকে সনাক্ত করবে। এ ছাড়া দুর্ঘটনা প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ উল্লেখ করে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ প্রদান করবে।’
লঞ্চডুবির একই ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেটকে প্রধান করে ৭ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ জানান, ‘লঞ্চডুবির ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিট্রেটকে প্রধান করে ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নিহতের পরিবারকে লাশ দাফন করার জন্য ২৫ হাজার টাকা দেয়া হবে। আহতদেরকে হাসপাতালে চিকিসা দেয়া হচ্ছে। সাঁতরে প্রায় ২০ জন তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছে।’