যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে দুদককে আবেদন করার অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই অনুমতি দেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান বলেন, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়েছে হাইকোর্টে। এর আগে আজ সোমবার সকালে আদালত থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছে।
র্যাবের ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক ওরফে আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই অভিযানে যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, বিতর্কিত ঠিকাদার জি কে শামীমসহ মোট ১৩ জন গ্রেপ্তার হন।
সম্রাটের চারটি মামলার কোনোটিরই বিচারকাজ শুরু হয়নি। তবে তিনটি মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। দুই বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আরেকটি মামলার তদন্তই শেষ হয়নি।
চলতি বছরের ১০ এপ্রিল থেকে ১১ মের মধ্যে চার মামলায় জামিন পান সম্রাট। তবে এক সপ্তাহ পর ১৮ মে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় হাইকোর্ট জামিন বাতিল করে তাঁকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। সর্বশেষ ২২ আগস্ট তিনি এ মামলায় জামিন পান।
এরপরও তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন। গত শুক্রবার তিনি হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে আসেন। এ সময় তিনি সমর্থকদের নিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরসহ বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দেন। এতে ছুটির দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে যানজট দেখা দেয়।