সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকারুননিসা প্রিন্সিপালকে নিয়ে আলোচনার ঝড়

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ২৬, ২০২১, ০৬:৪০ পিএম

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিকারুননিসা প্রিন্সিপালকে নিয়ে আলোচনার ঝড়

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রিন্সিপাল কামরুন নাহার (অধ্যক্ষ) ও অভিভাভবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর মধ্যকার ফাঁস হওয়া ফোনালাপ নিয়ে দেশের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে নানা ধরণের আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে। 

ফোনালাপের রেকর্ডটির একটি কপি দ্য রিপোর্টের হাতে এসেছে। রেকর্ডটির এক অংশে প্রিন্সিপাল বলেন, ‘আমি বালিশের নিচে পিস্তল রাখি। কোনো ... (গালি) বাচ্চা যদি আমার পেছনে লাগে আমি কিন্তু ওর পেছনে লাগব, আমি শুধু ভিকারুননিসা না আমি তাকে দেশছাড়া করব’।

তবে ফাস হওয়া ফোনালাপের অডিওটি ভিত্তিহীন ও সুপার এডিট করা বলে গণমাধ্যমের কাছে মন্তব্য করেছেন কলেজের প্রিন্সিপাল কামরুন নাহার। 

মোট ৪ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড ধরে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ ও প্রতিষ্ঠানটির অভিভাবক ফোরামের নেতা মীর সাহাবুদ্দিন টিপুর মধ্যে চলে এই কথোপকথন, অডিওটির বেশ কিছু অংশে বিভিন্ন ধরণের গালাগালি রয়েছে যা ছাপার অযোগ্য। 

এই বিষয়ে স্কুলের গভর্নিং বোর্ডের সদস্যরা গণমাধ্যমকে বলেন, এই অধ্যক্ষ এ বছরের প্রথম দিন যোগদান করেন। এরপর থেকেই তিনি প্রতিষ্ঠানে আসেননি বললেই চলে। কেউ যদি তাকে প্রতিষ্ঠানে আসার বিষয়ে অনুরোধ করেন, তিনি (কামরুন নাহার) সবাইকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তিনি শুধু শিক্ষক নন, বড় রাজনীতিক এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মন্ত্রী, সচিবালয় এবং সরকারের শীর্ষপর্যায় পর্যন্ত তার পক্ষে আছে বলেও দাবি করেন।

অন্যদিকে প্রিন্সিপাল কামরুন নাহার গণমাধ্যমকে বলেন, আমি ক্যাম্পাসে আসার তিন দিনের মাথায় ওরা আমাকে গালিগালাজ শুরু করে। ওদের কথামত নাকি আমাকে চলতে হবে। এর আগের প্রিন্সিপালকে তারা মোবাইল ছুঁড়ে মেরেছে। আমার বাসায় ঢিল মারে। আমার দরজায় লাথি মারছে। লাথি মেরে আমার চেয়ার ফেলে দিয়েছে। 

তিনি বলেন, ওরা চায় (অভিভাবক ফোরাম) আমি কিছু আসন ফাঁকা রাখি যাতে তারা ভর্তি বাণিজ্য করতে পারে। আমি বলেছি শিক্ষামন্ত্রী আমাকে এখানে থাকতে বলেছেন। এ প্রতিষ্ঠানকে ঠিক করার দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন। আমি যদি এদের কথায় ভর্তি বাণিজ্যের অনিয়ম করে বেড়াই মন্ত্রীর কাছে আমি তখন কি জবাব দেবো। আমার ইতিহাসে অন্যায়ের কোন দাগ নেই। এর আগের কোন প্রিন্সিপাল এখানে কেন থাকতে পারেনি এখন বুঝতে পেরেছি।

Link copied!