জুলাই ৬, ২০২১, ০৮:৪৪ এএম
মহামারি করোনাভাইস সংক্রমণ প্রতিরোধে খুব শিগগিরই ফের দেশব্যাপী গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাঠানো মডার্না ও চীনের তৈরি সিনোফার্মার টিকা দিয়েই এই গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় মডার্নার টিকা এবং জেলা উপজেলায় সিনোফার্মার টিকা দেওয়া হবে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্প্রসারিত ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক এবং জাতীয় কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পরিকল্পনার সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক সোমবার (০৫ জুলাই) গণমাধ্যমকে বলেন, ‘কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা কোভ্যাক্স সুবিধায় পাওয়া মডার্নার টিকা দেওয়া হবে দেশের ১২ সিটি করপোরেশন এলাকায়, আর চীন থেকে কেনা সিনোফার্ম দেওয়া হবে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে।’
গত ২৭ জানুয়ারি দেশে প্রথম করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি ওই টিকাদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরবর্তীতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড দেওয়ার মাধ্যমে একযোগে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা য়ায়, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ডের মজুত শেষের পথে থাকায় দেশে করোনা টিকা নেয়ওয়ার জন্য আগ্রহীদের অনলাইনে নিবন্ধন কার্যক্রম গত ২ মে থেকে বন্ধ ছিল। ওইদিন পর্যন্ত ৭২ লাখ ৪৮ হাজার ৮২৯ জন নিবন্ধন করেছিল।
তবে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) থেকে অনলাইনে সুরক্ষা প্ল্যাটফর্মে টিকা নিবন্ধন কার্যক্রম ফের শুরু হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম সোমবার (৫ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘এখন ৩৫ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। এছাড়া শিক্ষার্থী ও প্রবাসীসহ অন্য যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, তারাও নিজ নিজ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের জন্য উন্মুক্ত করে সুরক্ষায় নিবন্ধন করতে পারবেন।’
এর আগে, ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম বয়স ৪০ বছর নির্ধারণ করা হয়েছিল। আগামী ৮ জুলাই থেকে ৩৫ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।