পাঁচ দফা দাবিতে সিলেট বিভাগে চলছে পরিবহন ধর্মঘট। ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যান চলাচল। যাত্রীবাহী যানবাহনের পাশাপাশি পণ্যবাহী যানবাহনও বন্ধ রয়েছে। এতে করে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন এসএসসি ও স্নাতক পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ।
মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুতে টোল আদায় বন্ধ, নগরের ভেতরে ছোটো গাড়ির পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করাসহ ৫ দফা দাবিতে রোববার (২২ নভেম্বর) এ ধর্মঘটের ডাক দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন।
শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকা এ ধর্মঘটে সিলেটে বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও পণ্যবাহী ট্রাকসহ সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। ভোর থেকে ব্যক্তিগত যানবাহন ও রিক্সা ছাড়া আর কোনো বাহনের দেখা পাওয়া যায়নি।
এ ছাড়াও, নগরীর প্রবেশপথ কদমতলী বাসস্ট্যান্ড, হুমায়ুন রশীদ চত্বর, টিলাগড়, কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পরিবহন শ্রমিকদের সব ধরণের গাড়ি আটকাতে দেখা গেছে সকাল থেকে।
সিলেট থেকে কোনো দূরপাল্লা বা আন্তজেলা বাস ছেড়ে যায়নি। সিলেট ছাড়াও বিভাগের বাকি ৩ জেলাতেও একইভাবে পালিত হচ্ছে ধর্মঘট।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক জাকারিয়া আহমদ বলেন, "গত ৯ নভেম্বর সিলেট জেলা প্রশাসক বরাবর আমরা ৫ দফা দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। সেসব দাবি মানার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।"
পরীক্ষার্থীরা ধর্মঘটের আওতামুক্ত থাকবেন বলে ঘোষণা দেওয়া হলেও রাস্তায় গাড়ি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
শ্রমিকদের ৫ দফা দাবিগুলো হলো- সিলেট জেলা অটো টেম্পু ও অটো রিকশাচালক শ্রমিক জোটের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা এবং প্রহসনমূলক নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তথাকথিত ঘোষিত কমিটি বাতিল করা ও মনোনয়ন ফি বাবদ আদায় করা টাকা ফেরত দেওয়াসহ সিলেটের আঞ্চলিক শ্রম দপ্তরের উপপরিচালককে প্রত্যাহার; সিলেট জেলা বাস, মিনিবাস কোচ-মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের ওপর কোতোয়ালি থানায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার; সিলেটের ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশের হয়রানি বন্ধ; মেয়াদোত্তীর্ণ সেতুতে (শেরপুর সেতু, শেওলা সেতু, লামাকাজী সেতু, ফেঞ্চুগঞ্জ সেতু ও শাহপরান সেতু) টোল আদায় বন্ধ এবং সিলেটের চৌহাট্টাসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে কার, মাইক্রোবাস, লেগুনা, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ ছোট গাড়ির জন্য পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা।