অবশেষে বাংলাদেশে ১০ লাখ ডোজ করোনা ভাইরাসের টিকা পাঠাচ্ছে ভারতের টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সেরাম ইনস্টিটিউট। অক্টোবর মাসেই ভারত সরকারের ‘ভ্যাকসিন মৈত্রী কর্মসূচি’র আওতায় বাংলাদেশ, নেপাল ও মিয়ানমারে দশ লাখ ডোজ করে টিকা পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। খবর পিটিআিইয়ের।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, অক্টোবর মাসে 'ভ্যাকসিন মৈত্রী কর্মসূচি’র আওতায় সেরাম ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও নেপালে কোভিশিল্ডের ১০ লাখ ডোজ টিকা রপ্তানি করবে।
ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা ‘কোভিশিল্ড’ এর ৩ কোটি ডোজ কিনতে ২০২০ সালের একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছরের জানুয়ারিতে ৬০০ কোটি টাকারও বেশি অগ্রিম হিসেবে দেয় বাংলাদেশ সরকার। যা টিকার মোট দামের অর্ধেক।
চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। সে অনুযায়ী গত ২৫ জানুয়ারি প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ এবং ২৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় চালানে ২০ লাখ ডোজ টিকা আসে বাংলাদেশে। পাশাপাশি ভারত সরকারের উপহার হিসেবে ২১ জানুয়ারি আরও ২০ লাখ ডোজ এবং ২৬ মার্চ ১২ লাখ ডোজ কোভিশিল্ড পেয়েছে বাংলাদেশ। মার্চে ভারতে করোনাভাইরাস মহামারি চরম আকার ধারণ করলে সেদেশের সরকার টিকা রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। ফলে সঙ্কটে পড়ে বাংলাদেশ। পর্যাপ্ত টিকা না থাকায় ২৫ এপ্রিল দেশে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়। এক পর্যায়ে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত চীন থেকে সিনোফার্মের টিকা কেনার জন্য সরকার চুক্তি করে।
এর আগে গত ২০ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছিল, অক্টোবর মাস থেকে ভারত দেশে উৎপাদিদ উদ্বৃত্ত ভ্যাকসিন রফতানি আবারও শুরু করতে চায়।
বিশ্বে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম প্রধান দেশ। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুযায়ী, তারা এখন পর্যন্ত ৯০টিরও অধিক দেশে দেশে সাড়ে ৬ কোটিরও বেশি ডোজ ভ্যাকসিন রফতানি করেছে।
গত জুলাই মাসে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেছিলেন, ভারতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। ভ্যাকসিন উৎপাদনও দ্রুত বাড়ছে। আশা করছি খুব শীঘ্রই চুক্তি অনুযায়ী ভারতীয় ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে সরবরাহ করতে পারব।