২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যের বাজারে আওয়ামী লীগের জনসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষ করে তিনি বৈদ্যের বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেটে গেলে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। হামলায় কিবরিয়া, তাঁর ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী নিহত হন। আহত হন কমপক্ষে ৭০ জন।
ঘটনার রাতেই হবিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন তৎকালীন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল মজিদ খান।
সেই মামলার ১৮ বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি বিচার প্রক্রিয়া। বারবার মামলার শুনানির তারিখ পেছানো ও সাক্ষ্যগ্রহণ ঠিকমতো না হওয়ায় সুষ্ঠু বিচারের আশা ছেড়ে দিয়েছে কিবরিয়াসহ হতাহতদের পরিবারগুলো।
২০১৫ সালে দুটি মামলার একটিতে তিন দফা তদন্ত শেষে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। এর পর থেকেই চলছে সাক্ষ্যগ্রহণ। তবে তদন্ত প্রক্রিয়ার প্রথম থেকেই অনাস্থা জানিয়ে আসেন সাবেক অর্থমন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা। এদিকে বিচার প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতায় তাঁরা হারিয়েছেন বিচার পাওয়ার আশা।
শাহ এএমএস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘এই ঘটনার পর আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি করেছি। সেই বিচার এত বছরেও হয়নি। এই সরকার থাকাকালীন আমরা সুষ্ঠু তদন্ত ও সুষ্ঠু বিচার আশা করি না।’
তবে মামলার বাদী সংসদ সদস্য মজিদ খান বলেন, ‘নানা আইনি জটিলতায় মামলায় দীর্ঘসূত্রতা সৃষ্টি হয়। তারপরও আমি চাই এ মামলা কার্যক্রম দ্রুত শেষ হোক।’