বহুমাত্রিক লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলার রায় আগামীকাল বুধবার ঘোষণা করা হবে। ঢাকার ৪র্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আল-মামুনের আদালত আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন। এর মাধ্যমে দীর্ঘ ১৮ বছর পর আলোচিত এই হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে।
এর আগে, গত ২৭ মার্চ ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আল-মামুন রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর অমর একুশে বই মেলা থেকে বাসায় ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলায় মারাত্মক আহত হন প্রথিতযশা লেখক হুমায়ুন আজাদ। হামলার পরদিন তার ভাই মঞ্জুর কবির বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। হুমায়ুন আজাদ আহত হয়ে ২২ দিন ঢাকা সিএমএইচ হাসপাতালে এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২০০৪ সালেরই ১২ আগস্ট (জার্মান সময়) তিনি জার্মানির মিউনিখে মারা যান। তার মৃত্যুতে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল গোয়েন্দা পুলিশের (সিআইডি) পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার পরিবর্তে হত্যার অভিযোগে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এরা হলেন- নিষিদ্ধ ঘোষিত জামাত-উল-মুজাহিদীন বাংলাদেশ‘র (জেএমবি) সূরা সদস্য আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন, মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শাওন, রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহামুদ ও নুর মোহাম্মদ ওরফে সাবু।
২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি প্রিজনভ্যানে হামলা চালিয়ে জঙ্গিরা যে তিন আসামিকে ছিনিয়ে নেয় তার মধ্যে সালাহউদ্দিন ওরফে সালেহীন এবং রাকিবুল হাসান ওরফে হাফিজ মাহামুদ এ মামলার আসামি। এদের মধ্যে রাকিব ওইদিন রাতে ধরা পড়ে এবং পরে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মারা যায়। মিজানুর রহমান এবং আনোয়ারুল আলম কারাগারে আছেন। নুর মোহাম্মদ এবং সালেহীন পলাতক রয়েছেন।