গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ৭১টি গুমের ঘটনা ঘটে। সেগুলোতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৭১ জনের মধ্যে ১৬ জন এখনো নিখোঁজ এবং ৫ জন হত্যার শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া ২২ জনকে পরবর্তীতে আটক কিংবা গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। ২৩ জন গুম হওয়ার পর ফেরত এসেছে এবং ৫ জন সম্পর্কে কোন তথ্য জানাতে পারেনি সিজিএস। তবে যে ৫১ জনের পেশা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে তাতে দেখা গেছে রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীরা গুমের শিকার হয়েছে সবচেয়ে বেশি। এই দুই পেশার ১১ জন করে গুমের শিকার হয়েছেন।
সিজিএসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫২টি গুমের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় পড়া এলিট ফোর্স র্যাব ২১টি এবং ডিবি ১৬টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সিআইডিসহ নানা বাহিনীর জড়িত থাকারও অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ২৬টি গুমের ঘটনা ঘটেছে। আর গত বছরের জুনে সবচেয়ে বেশি ৮ জন ব্যক্তি গুমের শিকার হয়েছেন।
ওয়েবিনারে আইন ও সালিস কেন্দ্রের নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ নুর খান বলেন, ‘এমনও ঘটনা আছে যে, মিরপুরে র্যাবের গাড়িতে করে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে এবং সিসিটিভির ফুটেজও রয়েছে। তারপরও পরবর্তীতে তা স্বীকার করা হয়নি। ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০২৩ সালে একটা নির্বাচন দেখব। নির্বাচন আসার আগে এ ধরনের তৎপরতা আবারও দেখা যেতে পারে। সেখানে জঙ্গি ইস্যু দেখানোর চেষ্টা হতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ গুমের শিকার হতে পারেন। তাই এটা মোকাবিলায় আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করা উচিত।’
ওয়েবিনার অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান। প্রতিবেদনে গুম হওয়া ৭১ ব্যক্তির নাম, কখন গুম হয়েছেন, বর্তমানে কি অবস্থায় আছেন ইত্যাদি তথ্য তুলে আনা হয়েছে। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য গুম হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে হয়রানি বন্ধ করে তাঁদের আইনি সহায়তা দেওয়াসহ ৫ দফা পরামর্শ দেওয়া হয় ওই প্রতিবেদনে।