মার্চ ১২, ২০২৩, ০৬:৪৪ এএম
ব্যবসায়ীদের সাথে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহতের ঘটনা ঘটেছে। রবি ও সোমবার সকল ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি সাত প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার (১১ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। চলে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত।
রাত সাড়ে ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ার শেল-রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকে আহত হন। তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে আহতদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাৎক্ষণিক আহত শিক্ষার্থীদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ইট-পাটকেলের আঘাতে অনেকের মাথা ফেটে গেছে। আহত হয়েছেন সংবাদকর্মীরাও।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম দাবি করেছেন, সংঘর্ষে আহত শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুইশতাধিক। তাদের হাসপাতালে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’
অন্যদিকে, এ ঘটনার প্রেক্ষিতে রোববার ও সোমবার সব ধরনের ক্লাস পরীক্ষা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।
অন্যদিকে বিনোদপুর ফটকের সামনে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে কারা দিয়েছে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, সমাজকর্ম বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্র বাসে করে রাবিতে আসার সময় সুপারভাইজার তার সাথে 'বাজে' আচরণ করেন। বাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে পৌঁছালে ওই শিক্ষার্থী বাস সুপারভাইজারের সাথে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এ সময় বিনোদপুরের এক স্থানীয় ওই বাকবিতণ্ডায় যুক্ত হন। স্থানীয় ব্যক্তি ওই শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করলে এর সূত্র ধরে স্থানীয় ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। স্থানীয়রা কয়েক দফা রাবির বিনোদপুর গেট দিয়ে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীদের ওপর ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। তারা এ সময় পেট্রোল বোমা ছোড়ে বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন।