ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২, ১২:৫৭ পিএম
রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের প্রতিবেশী দেশ উৎসাহ দেয় বলে ইয়াবা আসছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের ২৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোনো ড্রাগ প্রডিউসিং কান্ট্রি নয়। এর ভয়াল থাবা থেকে আমাদের প্রজন্মকে রক্ষার জন্য আমরা সর্বশক্তি প্রয়োগ করছি। প্রতিবেশী দেশ যারা এই মাদক তৈরি করে, তাদের সঙ্গে আমরা সবভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আলাপ-আলোচনা করছি, বর্ডারে কঠিন ব্যবস্থা নিচ্ছি। কোস্টগার্ডকে আমরা শক্তিশালী করছি। অনেকগুলো উদ্দেশ্যের মধ্যে মাদকও একটি বড় উদ্দেশ্য।
তিনি আরও বলেন, ইয়াবা কিংবা আইস ভয়ংকর ড্রাগ। এই ড্রাগ যারা সেবন করেন ২ বছরে তাদের মেধা তো যায়ই এবং সবভাবেই সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমাজের জন্য সে একটা বোঝা স্মরূপ হয়। এ জন্য বিজিবি-পুলিশ সতর্ক রয়েছে। ৪৭ হাজার কিলোমিটার আমাদের উপকূলীয় এলাকা। আমরা যখনই যে এলাকা শক্তিশালী করছি, অন্য এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশ করার একটা প্রচেষ্টা চলছে। যেখানেই আমরা বাধা দেই উল্টো আরেকটা পথ সৃষ্টি করে নিচ্ছে।
এ জন্য আমরা সবাইকে আহ্বান করবো, আমাদের যেন সবাই সহযোগিতা করে যাতে করে আমরা নতুন প্রজন্ম যাদের নিয়ে আমরা ভবিষ্যতে স্বপ্ন দেখছি, তাদের রক্ষার জন্য আমরা কাজ করতে পারি। বিজিবি বর্ডারে যখন ড্রাইভ করে তখন চলে আসে এদিকে। ইয়াবা ছোট ছোট জিনিস। রাষ্ট্রীয়ভাবে আমাদের প্রতিবেশী দেশ এদের উৎসাহ দেয়, সে জন্য ইয়াবা অহরহ আসছে। আমরা তাদের সঙ্গে মন্ত্রী পর্যায়ে, বিজিবি-কোস্টগার্ড পর্যায়ে আমরা আলাপ-আলোচনা চালানোর পাশাপাশি বর্ডারকে শক্তিশালী করছি। বর্ডারে সেন্সর ফিট করছি, কোস্টগার্ডে আরও বোট নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে যাতে করে মাদক আমরা জিরো টলারেন্স নীতিতে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোস্টগার্ডে জনবল কম ছিল। কোস্টগার্ডের একটা নীতিমালা ছিল এ রকম, বাংলাদেশ নেভি থেকে আসবে কাজ করতে। সে জন্য আমাদের সংকট ছিল। আমরা ইতালি থেকে জাহাজ এনেছি, আরও জাহাজ আসবে। সেগুলো পরিচালনা করতে যে লোকবল বর্তমানে আছে তা দিয়ে হচ্ছে না। সে জন্য আমরা আইন সংশোধন করছি, যাতে বিজিবি যেমন নিজস্ব বাহিনী তৈরি হয়েছে সেই আদলে একটি বাহিনী তৈরি হয়। পটুয়াখালীতে আমরা একটা একাডেমি করেছি। নতুন যারা আসবে তাদের ট্রেনিংয়ের জন্য।