ডিসেম্বর ২৯, ২০২১, ০৬:৩৬ পিএম
চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে হলে বাংলাদেশের ‘পাওয়ার ও এনার্জি’ খাতকে আরও উন্নত করতে হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও তথ্য-প্রযুক্তি সেক্টর একসঙ্গে কাজ করলে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়া সম্ভব।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের (আইইবি) হলরুমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটি "Power, Energy and Deep Learning Applications for 4IR in Bangladesh"-শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ সম্ভাবনার চিত্র তুলে ধরেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া টেক ইউনিভার্সিটির ‘জোসেফ আর লরিং’ অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান।
আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হােসেন মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রনক আহসান। স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর। আলোচক হিসেবে ছিলেন কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম ও বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিয়া শাহনাজ।
মূল প্রবন্ধে অধ্যাপক ড. সাইফুর রহমান বলেন, “পাওয়ার ও এনার্জি পলিসি প্রনয়ণের সময় পাঁচটি বিষয়ে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। যন্ত্র ও মানুষের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে, শক্তি সংরক্ষণ করতে হবে, অপচয় রোধ করতে হবে, ক্রস বর্ডার এনার্জি শেয়ারিং করতে হবে, নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন সৌরবিদ্যুৎ, জলবিদ্যুৎ ও পারমাণবিক শক্তির উপর জোর দিতে হবে।”
স্বাগত বক্তব্যে আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আবদুস সবুর বলেন, “বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আমাদের প্রচুর সম্পদ আছে, সুযোগও আছে। তথ্য-প্রযুক্তিতেও আমাদের অসাধারণ উন্নতি হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তার সুযোগ্য আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে শুধু ইকোনমিক ও পলিটিক্যাল ডিপ্লোমেসি নয়, সায়েন্স ডিপ্লোমেসি ও টেকনোলজিক্যাল ডিপ্লোমেসিতেও আগামী দিনে বাংলাদেশ বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে।”