ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪, ০৯:৫৫ এএম
মিয়ানমারের জান্তা বাহিনী গত কয়েকদিনে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস (পিডিএফ) ও ও জাতিগত সশস্ত্র সংগঠনগুলোর (ইএও) বিদ্রোহীদের কাছে আরও বেশ কয়েকটি ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। রাখাইন, কাচিন ও মন প্রদেশ এবং সাগাইং ও বাগো অঞ্চলে জান্তা বাহিনী এসব ঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ হারায়।
পিডিএফ ও ইএওর বিদ্রোহীদের তরফে এসব খবর জানিয়েছে ইরাবতী।
আরাকান আর্মি (এএ) বলেছে, তিন দিন লড়াইয়ের পর তারা কাচিন প্রদেশের মান্দালয়-মিতকিনিয়া সড়কে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি সেনাঘাঁটি দখল করেছে।
এএ জানায়, কাচিন ইনডিপেনডেন্ট আর্মি (কেআইএ) ও কাচিন রিজিওনাল পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের (কেআরপিডিএফ) বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমন্বিতভাবে অভিযান চালিয়ে মানসি শহরের শিখাঙ্গি এলাকার ঘাঁটি দখল করেছে তারা। জান্তার পদাতিক ব্যাটালিয়ন ২৭৬ ও ২২৩-এর সেনাসদস্যরা প্রায় ৩০ বছর ধরে ওই ঘাঁটিতে অবস্থান করছিলেন।
বিদ্রোহীরা দাবি করেছে, ঘাঁটিটি রক্ষা করতে জান্তা বাহিনী ৬০টির বেশি বিমান হামলা চালিয়েছিল। এতে অন্তত ৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত ও ১৫ জনের বেশি আহত হন।
রাখাইনে আরেক ঘাঁটি দখল
এএ দাবি করেছে, রাখাইন রাজ্যের মংডুতে তারা সামরিক জান্তার আরেকটি ঘাঁটি দখল করেছে। ১৯ ফেব্রুয়ারি মংডু শহরের পায় ইউন তাং এলাকার ওই ঘাঁটি তারা দখল করেছে। সকাল সাতটার দিকে তারা ঘাঁটিতে হামলায় এবং নয় ঘণ্টা লড়াইয়ের পর তারা সেটি দখল করে।
এএ দাবি করেছে, সংঘর্ষ চলাকালে জান্তার একটি যুদ্ধবিমান থেকে ওই এলাকার আশপাশে বোমাবর্ষণ করা হয়। এএ বিদ্রোহীরা ঘাঁটি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ জব্দ করেছে। সেখানে জান্তা বাহিনীর ১০ সদস্যের মরদেহ পাওয়া গেছে।
এএ বলছে, ঘাঁটি থেকে আশপাশের এলাকা ও বনে পালিয়ে যাওয়া জান্তার অন্য সদস্যদের খুঁজে বের করতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
সামরিক জান্তা সিত্তেউই, পোনাকিউন, রাথেডং, রাম্রি, কিয়াউকপিউ ও অ্যান শহরের বেসামরিক এলাকায় আকাশ থেকে হামলা চালাচ্ছে। একই সঙ্গে গোলাবারুদ নিক্ষেপ করছে। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। গৃহপালিত পশু ও বাড়িঘর পুড়ে গেছে।