আগস্ট ১৭, ২০২৩, ১০:০৭ পিএম
“জিয়াউর রহমানের সকল কর্মকাণ্ডই ছিল প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির পক্ষে কিন্তু মুক্তিযুদ্ধবিরোধী ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী। স্বাধীনতা বিরোধী। তিনি রাজাকার, আল বাদর, আল শামসদের পুনর্বাসন করেছেন। তাদের গাড়িতে বাংলাদেশের রক্ত রঞ্জিত পতাকা উঠিয়ে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন। মন্ত্রী বানিয়েছেন।”
বৃহস্পতিবার (১৭ অগাস্ট) বিকালে নগর ভবন প্রাঙ্গণে `জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে` ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক) আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ মন্তব্য করেন।
ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, তিনি হত্যাকারী, খুনিদেরকে পুনর্বাসন করেছেন। সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে তাদেরকে পদোন্নতি দিয়েছেন, পদায়ন করেছেন, নিরাপত্তা দিয়েছেন। তিনি সংবিধান ভূলুণ্ঠিত করেছেন। সংবিধান কাঁটাছেড়া করেছেন।
পঞ্চম সংশোধনী করে হত্যাকারীদের বিচারের আওতার বাহিরে রেখেছেন। এভাবে তিনি আইনের শাসন ভূলুণ্ঠিত করেছেন। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন, হত্যা করেছেন। তার সকল কর্মকাণ্ড ৪৮ বছর ধরে বিশ্লেষণ করলে এটাই প্রতীয়মান হয় যে, খুনি জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের নেপথ্যের প্রধান কুশীলব। নেপথ্যের প্রধান ষড়যন্ত্রকারী ও হত্যাকারী।"
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, খুনি জিয়াউর রহমান সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে নেপথ্যের প্রধান কুশীলব।
খুনি জিয়া নিরপরাধ ও মুক্তিযোদ্ধা অনেক সেনা কর্মকর্তাকে ‘মার্শাল ল’ এর মাধ্যমে হত্যা করলেও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের পুরষ্কৃত করেছিলেন মন্তব্য করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, "আমরা জানি, জিয়াউর রহমান মার্শাল ল আদালতে কত নিরীহ, নিষ্পাপ সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে। সেই জিয়াউর রহমান মার্শাল ল এর মাধ্যমে বহু মুক্তিযোদ্ধা সৈনিকদেরকে হত্যা করেছে। নিরীহ সেনা কর্মকর্তাদেরকে হত্যা করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদেরকে মার্শাল ল` এর আওতায় আনেন নাই। বরং খুনীদের বিভিন্নভাবে পুরষ্কৃত করা হয়েছিল।"
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, সংসদ সদস্যদের মধ্যে ঢাকা-৫ এর কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, সংরক্ষিত আসনের জিন্নাতুল বাকিয়া এবং করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।