নভেম্বর ১, ২০২৩, ০২:৩২ পিএম
জামায়াত-বিএনপির মূল উদ্দেশ্য এদেশকে পাকিস্তানী ভাবধারায় পরিচালিত করা এবং একটি ব্যর্থ জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করা। কারণ তাদের সাথে যাদের বন্ধুত্ব, তাদের দোসর যারা, তারা বাংলাদেশের অস্তিত্বই চায় নাই।
বুধবার (০১ নভেম্বর) দুপুরে বাড্ডা সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে যুবলীগের অবস্থান কর্মসূচিতে এ মন্তব্য করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।
তিনি বলেন, `বিএনপি নামক সংগঠনটি বিদেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছে পলাতক আসামী তারেক রহমান দ্বারা। আমি একটি কথা অনেক দিন ধরে বলছি- যে তারেক রহমান কোন রাজনৈতিক নেতা না। রাজনৈতিক নেতা যদি হতো তাহলে সে অনেক আগেই দেশে চলে আসতো। সে ভূয়া এবং প্রতারক।`
নেতৃত্ববিহীন কোন আন্দোলন, সংগ্রাম সফল হয় না তাদের প্রতারণার চেহারা, সন্ত্রাসী চেহারা জনগণের কাছে উন্মোচিত উল্লেখ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের পুলিশ বাহিনী, সংবাদ মাধ্যম ও বিচার বিভাগ বিএনপি-জামায়াতের চক্ষুশুল। এর আগেও তারা বিচারালয়ে, সাংবাদিক ও পুলিশের উপর হামলা করেছে। তাদের উদ্দেশ্য দেশকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা, জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করা।’
যুবলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আপনারা সজাগ ও সচেতন থাকবেন- এই বিএনপি-জামায়াত মাঠে নামলে সাধারণ মানুষ, পুলিশ, সাংবাদিক বন্ধু ও বিচার বিভাগ কেউ নিরাপদ না। সুতরাং আপনাদেরকে রাজপথে থাকতে হবে যাতে তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয় এবং আমাদের সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতি করতে না পারে। তাই বিএনপি-জামায়াত অবরোধ দিলে আমাদেরকেও রাজপথে অবস্থান নিতে হবে।’
বিএনপি-জামায়াত কর্তৃক হরতাল, নৈরাজ্য, অগ্নিসংযোগ ও হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণের অন্তর্গত সংসদীয় আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
গাবতলীর বেড়িবাধে যুবলীগের আরেকটি অবস্থান কর্মসূচিতে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, এদেশের মানুষকে চায় না তারা শুধু ক্ষমতা চায়। এই জন্যই সাধারণ জনগণের জানমালের ক্ষতি করার জন্যই অবরোধ দিয়েছে। আমরা হুঁশিয়ারি করে বলতে চাই-সাধারণ জনগণকে নিয়ে আমরাও মাঠে আছি। যেখানেই এই বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসী পাওয়া যাবে সেখানেই সাধারণ জনগণকে নিয়ে কঠোরভাবে প্রতিহত করবো।
এছাড়া আজকের আসন ভিত্তিক অবস্থান কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অন্তর্গত ঢাকা-২ আসনের কামরাঙ্গীরচর হাসপাতাল মাঠ, ঢাকা-৪ আসনের ধোলাইপাড় মোড়, ঢাকা-৫ আসনের শনিরআখড়া-দনিয়া, ঢাকা-৬ আসনে ভিক্টোরিয়া পার্ক, ঢাকা-৭ আসনে চকবাজার মোড়, ঢাকা-৮ আসনে ২৩, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে, ঢাকা-৯ আসনে কমলাপুর স্কুলের সামনে, ঢাকা-১০ আসনে ধানমন্ডি -৩২ নম্বরে ও ঢাকা মহানগর উত্তরের অন্তর্গত ঢাকা-১২ আসনে যুবলীগ চত্বর, ফার্মগেইটে, ঢাকা-১৩ আসনে শ্যামলীতে, ঢাকা-১৪ আসনে গাবতলীতে, ঢাকা-১৫ আসনে মিরপুর-১০ নম্বর গোল চত্বরে, ঢাকা-১৬ আসনে মিরপুর-১১ বাসস্ট্যান্ডে, ঢাকা-১৭ আসনে মহাখালী কাঁচা বাজারে ও ঢাকা-১৮ আসনে আজমপুর উত্তরায় যুবলীগের নেতা-কর্মীরা দিনব্যাপী অবস্থান নেন।