দলীয় স্বার্থে পুনঃতফসিল ঘোষণা না করার আহ্বান

অভিশ্রুতি শাস্ত্রী

ডিসেম্বর ১, ২০২৩, ০৫:১০ এএম

দলীয় স্বার্থে পুনঃতফসিল ঘোষণা না করার আহ্বান

নির্বাচন ভবন। ফাইল ছবি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়েছে। সময়সীমা বৃদ্ধি না করায় বিএনপির পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নেই। তবে পুনঃতফসিল হলে সেক্ষেত্রে সুযোগ পাবে বিএনপিসহ অন্যান্য দল। যদিও দলীয় স্বার্থে পুনঃতফসিল কাঙ্খিত নয় বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।

বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেছিলেন মনোনয়ন পত্র দাখিলের আর কোনো সুযোগ নেই।   এদিকে বিএনপি ছাড়াই ভোট হচ্ছে কিনা- এ প্রশ্নে ইসি সচিব বলেন, সেটা আপনারাই বুঝেন।  

তবে কোন দল যদি নির্বাচনে আসার পরিস্থিতি করে সেক্ষেত্রে করণীয় কি সে প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, সুযোগ তো অনেক কিছুই আছে তবে এইটা অফিসিয়ালি বলতে পারবো না। যদি পুনঃ তফসিল  হয় তবে সবাই নতুন করেই মনোনয়ন দাখিল করবেন , সবকিছু নতুন করেই হবে।

তিনি আরও বলেন, করণীয় তো অনেক কিছুই আছে কিন্তু আমরা অফিসিয়ালি বলতে পারব না । মনোনয়ন দাখিলের সময় যেহেতু শেষ হয়েছে এখন আর মনোনয়নপত্রের সীমা বৃদ্ধির সুযোগ নেই। ১৯৯৬ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারি এবং ১২ জুনে দুইবার নির্বাচন হয়েছিলো। সবাই যদি চায় সেক্ষেত্রে সবকিছু সম্ভব কারণ সবকিছু জাতি এবং দেশের কল্যাণে।

এদিকে বৃহত্তর দলীয় স্বার্থে পুনঃতফসিল কাঙ্খিত নয় বলে জানায় নির্বাচন বিশ্লেষকরা। এ প্রসঙ্গে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, কোন দল যদি নির্বাচনে আসতে চায় তাহলে পুনঃ তফসিলের এখতিয়ার রাখে নির্বাচন কমিশন, তবে পুনঃতফসিল হবার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ থাকতে হবে।

তবে হঠাৎ এমন পরিবর্তন সঠিক নয় বলে জানান তিনি, ইসি তাদের ইচ্ছা মতো সবকিছু করতে পারে । কিন্তু খেলা তো শুরু হয়ে গেছে ,খেলা শুরুর মাঝে তো নিয়ম বদলাইতে পারে না । এখন তো যেকোনো কিছু সম্ভব। তাদের পুনঃ তফসিলের যে আভাস পাওয়া যাচ্ছে যদি হয় তবে এটা সঠিক হবে না ।

রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, জনগনের নিরাপত্তা দেশের সর্বোচ্চ আইন। এজন্য তো আইন বাতিল সংশোধন হয়। তবে এটা যদি ইসির ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের জন্য হয়,লোকজনকে ভাগিয়ে আঁনার জন্য হয় তবে ওটা কোনোভাবেই কাঙ্খিত হবে না । যদি একটা প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন হয় ,সবার অংশগ্রহণে তাহলে হতেই পারে । তবে এটা যদি কোনো দলের স্বার্থসিদ্ধির ছক অনুযায়ী হয় , কাউকে ভাগিয়ে আঁনার জন্য তবে তাহলে এটা কোনোভাবেই কাঙ্খিত নয় ।

অশোক দেবনাথ পুনঃ তফসিলের সুযোগ নিয়ে তিনি আরো জানান , রাষ্ট্রের কল্যাণে ও জনগনের কল্যাণে এটাই সর্বোচ্চ আইন তো সবকিছু উর্ধ্বে পুনঃতফসিল সম্ভব। যেমনটা বিচারপতি খায়রুল হক তার সংক্ষিপ্ত রায় দিয়েছিলো তখন এই ট্রেজ গুলো ব্যবহার করে বলেছিলো পরবর্তী দুই নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ভবিষ্যতের জন্য বাতিল ।

কিন্তু পরবর্তী দুই নির্বাচন এইসব বিবেচনায় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে পারে । বৃহত্তর স্বার্থে পুনঃ তফসিল হতেই পারে তবে বৃহত্তর স্বার্থে বলতে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে ,বৃহত্তর দলীয় স্বার্থে নয় ।

Link copied!