পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীতে এক হাটের গরু অন্য হাটে নেওয়া যাবে না। কেউ যদি এক হাটের গরু অন্য হাটে নেয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে ছিনতাই মামলা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (৪ জুন) দুপুরে ডিএমপি সদর দপ্তরে হাট ইজারাদারদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, “কেউ যদি এক হাটের গরু অন্য হাটে নেওয়ার জন্য চেষ্টা করে, তাহলে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। আর ঢাকার বাইরে থেকে যারা গরু আনবেন, তারা গাড়ির সামনে হাটের নাম লিখে ব্যানার টাঙাবেন।”
ঢাকার ভেতরে যারা গরুর হাটে কাজ করবেন তাদের মধ্যে ভালোভাবে সমন্বয় প্রয়োজন উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “বিশেষ করে জেলা প্রশাসন, সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। এদের মধ্যে যেন যথাযথ সমন্বয় থাকে। ঢাকার ১৯টি পশুর হাটের জন্য ১৯টি সমন্বয় সভা করতে হবে। থানার ওসি, ডিসি ও ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা সমন্বয় করবেন।”
হাবিবুর রহমান আরও বলেন, “এই ১৯টি হাটের পৃথকভাবে হোয়াটসঅ্যাপে গ্রুপ করতে হবে। প্রতিটি হাটের গ্রুপে একজন করে পুলিশ, সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, ভোক্তা অধিকার, হাট ইজারাদার প্রতিনিধি যুক্ত থাকবে। এতে অল্প সময়ের মধ্যেই যে কোনও ধরনের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হতে পারে।”
ডিএমপি কমিশনার বলেন, “কোরবানির হাটকে কেন্দ্র করে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বড় চ্যালেঞ্জ হয় ঢাকাবাসীর জন্য। পশুর হাটকে কেন্দ্র করে যেন যানজট সৃষ্টি না হয় সেদিকে সবাইকে খেয়াল রাখতে হবে। ঘরমুখো মানুষ যারা যাতায়াত করবেন তারা যেন নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারেন।”
হাটে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যাপারে ডিবির টিম সজাগ থাকবে উল্লেখ করে হাবিবুর রহমান বলেন, “হাট ও হাটের আশপাশে এমন অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টির ব্যক্তি দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে। এক্ষেত্রে হাট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করবেন। এছাড়া হাটে ২৪ ঘণ্টা পুলিশ থাকবে, মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেনে পুলিশের সহায়তা নিতে পারেন ব্যবসায়ীরা।”