এবারের ঈদযাত্রায় পাঁচ মহাসড়কের ১২২ স্পটে যানজটের শঙ্কা রয়েছে। এরই মধ্যে বেশি যানজটপ্রবণ ৫৯টি এবং কম যানজটপ্রবণ ৬৩টি জায়গা চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটপ্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৪১টি স্পটকে। সাইনবোর্ড, শিমরাইল, ভবেরচর, আদমজী রোডসহ ১৫টি এলাকায় জটের আশঙ্কা বেশি। আর কম যানজটপ্রবণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে ২৬টি এলাকা।
অধিক গুরুত্বপূর্ণ ১৫ স্পট: সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড, শিমরাইল বাসস্ট্যান্ড, আদমজী রোড, ভবেরচর বাসস্ট্যান্ড, কলেজ গেট (চড়ুইবাতি হেটেল), আনারপুরা, বলদাখাল বাসস্ট্যান্ড, গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড, আলেখারচর কাটা, ক্যান্টনমেন্ট মোড় (উভয়মুখী), নিমসার বাজার ও ইউটার্ন, বিসিক মোড়, লালপোল, ভাটিয়ারী পয়েন্ট ও ফৌজদারহাট ইউটার্ন।
কম গুরুত্বপূর্ণ ২৬ স্পট: মদনপুর মোড়, মোগড়াপাড়া মোড়, সানারপাড় ইউটার্ন, মৌচাক স্ট্যান্ড, দশতলা ভবন, পাখির মোড়, ওয়াটার পার্ক, ভাটেরচর নতুন রাস্তা, হাঁস পয়েন্ট, শহীদনগর বাসস্ট্যান্ড, আমিরাবাদ বাসস্ট্যান্ড, চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড, মাধাইয়া বাসস্ট্যান্ড, ইলিয়টগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, সুয়াগাজী বাজর (উভয়মুখী), সদর দক্ষিণ থানার সামনের কাটা, নুরজাহান হোটেলের সামনের কাটা, কোটবাড়ী ইউটার্নের উভয় পাশ, জাগুরঝুলি কাটা, নাজিরা বাজার ইউটার্ন, চৌদ্দগ্রাম বাজার, বারবকুন্ড বাজার, ছোট কুমিরা, কেডিএস মোড়, ফুটলিং এবং সীতাকুন্ড বাসস্ট্যান্ড/বড় দারোগারহাট স্কেল।
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ৫ স্পট
অধিক গুরুত্বপূর্ণ ৪টি: আমিন বাজার, আমিন বাজার সালেহপুর, নয়ার হাট ব্রিজ ও জাগীর ধলেশ্বরী ব্রিজ। কম গুরুত্বপূর্ণ ১টি স্পট হলো কালামপুর বাসস্ট্যান্ড।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ৩৬ স্পট
অধিক গুরুত্বপূর্ণ ২৪টি: মাধবদী বাসস্ট্যান্ড, শেখেরচর (বাবুরহাট), পাঁচদোনা মোড়, ভোলানগর, ইটাখোলা মোড়, রূপসী বাসস্ট্যান্ড, রবিন টেক্স গার্মেন্টস, ছনপাড়া, দুর্জয় মোড় বাসস্ট্যান্ড (পৌরসভা এলাকা), মরজাল বাজার, বারৈচা বাজার, যাত্রামুড়া ব্রিজ, তারাব বাসস্ট্যান্ড, বরাব স্ট্যান্ড, আশুগঞ্জ রেলগেট, খড়িয়ালা বাসস্ট্যান্ড, বেড়তলা বাসস্ট্যান্ড, কুট্টাপাড়া, শ্বরোড় মোড়, শাহবাজপুর, মাধবপুর বাজার, অলিপুর বাজার, শায়েস্তাগঞ্জ গোল চত্বর এবং গোয়ালাবাজার।
এবার ঈদে ভোগান্তি পোহাতে হতে পারে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের। এই পথের যানজটপ্রবণ এলাকা হোতাপাড়া বাস স্টপেজ। এ ছাড়া ভবানীপুর ও বাঘের বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকা পার হতে সময় লাগতে পারে বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে সারাদেশে যানজটপ্রবণ জায়গাগুলোতে নিতে হবে বিশেষ ব্যবস্থা। দ্রুত শেষ করতে হবে সড়কের সংস্কার কাজ। বাড়াতে হবে বাসের ট্রিপ সংখ্যা। রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটি দিতে হবে গার্মেন্টস শ্রমিকদের। বাড়তি মুনাফার লোভে সড়কে লক্কড়ঝক্কড় ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনে যাত্রী পরিবহন বন্ধ করতে হবে। পণ্যবাহী যানে যাত্রী বহন করতে দেওয়া যাবে না। বাড়তি ভাড়া আদায় বন্ধের পাশাপাশি সব পথেই সঠিক নজরদারি হলে পথের দুর্ভোগ কম হবে।